স্ক্রিনশটস টেকনিক - কপিরাইটিং বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই স্ক্রিনশট টেকনিক-কপিরাইটিং বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তো সঠিক কোন উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। আজ আমি আর্টিকেল এর মাধ্যমে -আপনাকে স্ক্রিনশট টেকনিক কপিরাইটিং বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃএখানে আরো গ্রামাটিক্যাল চেকার ও Plagiarism নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন
ভূমিকা
একজন আর্টিকেল রাইটারকে একটি আর্টিকেল লিখতে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হয়। প্রথমত তার লেখাটা ইউনিক এবং সাবলীল ভাষায় লিখতে হবে। এছাড়াও যে ধরনের ছবি ব্যবহার করা হয় সেগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন পোস্টে বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিনশট ব্যবহার করতে হয় সেগুলোও যেন দেখতে সুন্দর হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এছাড়া আরো বিশদ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখতে হয়। একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিষয় থেকে আজ কিছু বিষয় আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আশা করছি উপকারে আসবে।
স্ক্রিনশটস টেকনিক
আমরা যখন কোন আর্টিকেল লিখি বিভিন্ন আর্টিকেল এমন থাকে যে টিউটোরিয়াল এর মত। কোন কিছু সম্পর্কে বলে দেওয়া হচ্ছে কোথায় যেতে হবে, কোথায় গিয়ে কাজ করতে হবে এই টাইপের বর্ণনামূলক। এবং প্রত্যেকটা কাজ দেখিয়ে দিতে হয় যে তারপর কি হবে। এরকম পোস্ট বা আর্টিকেল লেখার জন্য আমাদের পোষ্টের ভিতরে স্ক্রিনশট ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে।
সেই স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য যে সমস্ত টেকনিক আছে সেই সব টেকনিক সম্পর্কে আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন স্ক্রিনশট টেকনিক সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। কোন একটা পোষ্টের ভিতর যখন বিভিন্ন স্ক্রিনশট আপলোড করা হয় তখন পুরো একটা স্ক্রিনের স্ক্রিনশট না নিয়ে যতটুকু দেখানো প্রয়োজন ততটুকু স্ক্রিনশট রাখার চেষ্টা করবেন।
বাদবাকি অংশ কেটে দিবেন এতে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে। তবে আপনার এদিকে খেয়াল রাখতে হবে আপনি কোন একটা ফোকাসিং এরিয়াকে দেখাতে গিয়ে এমন কোন এরিয়া মুছে ফেলছেন কিনা যার জন্য সমস্যা হতে পারে। যে এটা আসলে কোন জায়গার স্ক্রিনশট বা স্ক্রিনের কোন অংশের ছবি এটা। এ ব্যাপারটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
আপনি যদি ফোন থেকে স্ক্রিনশট নিতে চান তাহলে ভলিয়ম আপ এবং ভলিউম ডাউন বাটন একসাথে চাপ দিলে সাধারণত স্ক্রিনশট নেওয়া যায়। আবার কিছু কিছু ডিভাইস আছে যেখানে স্ক্রিনশট নেওয়ার টেকনিক অন্যরকম। এখন আপনি কোন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনি কিভাবে স্ক্রিনশট নিবেন।
চলুন এখন আলোচনা করা যাক আপনার ডেক্সটপে কিভাবে স্ক্রিনশট নিবেন। আপনি যে পেজের স্ক্রিনশট নিবেন সেই পেজটা আপনার ডিসপ্লের উপর রাখবেন। সেক্ষেত্রে আপনি উইন্ডোজ ১০ অথবা ১১ যায় ব্যবহার করেন না কেন নিচে বাম সাইডে স্টেপ মেনুতে চাপ দিবেন তারপর সেখান থেকে স্লিপিং টুল খুঁজে বের করতে হবে।
স্লিপিং টুল খুঁজে বের করতে Sn লিখে সার্চ করলে স্লিপিং টুল চলে আসবে। তারপর আপনি Open By এর উপর চাপ দিলে স্লিপিং টুলটা ওপেন হয়ে যাবে। এরপর নিউ বাটনটা চাপ দিবেন, এরপর কতটুকু অংশের স্ক্রিনশট নিবেন ততটুকু অংশ সিলেক্ট করবেন। সিলেক্ট করার পর স্ক্রিনশট নেওয়ার অংশটুকু বাম সাইডে চলে আসবে।
তারপর সেই অংশটুকু সেভ করে নিতে হবে। অথবা কি বোর্ড থেকে কন্ট্রোল এস চাপ দিলেও সেভ করার উইন্ডোটা চলে আসবে। পুরো স্ক্রিনের স্ক্রিনশট নেওয়ার পর যখন সাইডের অংশ কাটার প্রয়োজন পড়ে তখন আপনি ডেক্সটপ থেকে ফটোশপ এপস টি ব্যবহার করতে পারেন।
ফটোশপ ওপেন করে কিবোর্ড থেকে কন্ট্রোল ও একসাথে চাপ দিলে যে স্ক্রিনশটটা নিয়েছেন সেটা সিলেক্ট করতে হবে। স্ক্রিনশটটা পাশের অতিরিক্ত অংশ কাটার জন্য ক্রপটুল সিলেক্ট করে নিতে হবে। তারপর সিলেকশনের ভিতরে রাইট ক্লিক করে ক্লিয়ার রেশিও করে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার ইচ্ছামত ক্রপ করতে পারবেন।
স্ক্রিনশটটি ক্রপ করা হয়ে গেলে টিক চিহ্নে ক্লিক করে কেটে নিতে হবে। এবং আমাদের পোস্ট থেকে স্ক্রিনশটটি যেন কপি না হয় সেজন্য স্ক্রিনশটের উপরে আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখে দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে টেক্সট টুল ব্যবহার করতে হবে। স্ক্রিনশটটি পুরোপুরিভাবে তৈরি হয়ে গেলে এটা সেভ করার জন্য কি বোর্ড থেকে ctrl+shift+alt+a একসাথে চাপ দিতে হবে।
দিয়ে ইচ্ছামতো সাইজ দিয়ে সেভ করে নিতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায় স্ক্রিনশটের উপর মার্ক করতে হয় সেই মার্ক কিভাবে করা যায় চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেই। স্ক্রিনশট করার জন্য ফটোশপে অনেকগুলো টুলস রয়েছে, এর মধ্যে সবথেকে সহজ যে টুলস সেটা হল ব্রাশ টুল।
আপনি যদি কি বোর্ড থেকে বি এর উপর চাপ দেন তাহলে ব্রাশ টুলটি মার্ক হয়ে যাবে। ব্রাশ টুলের ওপর রাইট ক্লিক করে টুল টা নিয়ে নিবেন। তারপর রাইট বাটনে ক্লিক করে যে কোন একটা সাইজ সিলেক্ট করে ইচ্ছামত স্ক্রিনশটের উপর মার্ক করতে পারবেন।
গ্রামাটিক্যাল এর চেকার
আপনি লেখালেখি করার সময় যদি কোন ভুল করে ফেলেন গ্রামাটিক্যাল বা ব্যাকরণগত যদি কোন ভুল হয়ে থাকে লেখার মধ্যে তাহলে সেগুলো কিভাবে ঠিক করবেন চলুন জেনে নেই। এই গ্রামাটিক্যাল আমরা আসলে দুই ভাবে চেক করব। কারণ আমরা বাংলাতে লেখালেখি করি এবং ইংরেজিতে লেখা করি। আমাদের ব্রাউজার যেগুলো আছে সেগুলোতে বাংলা ঠিকমতো সাপোর্ট করে না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজি খুব ভালোভাবে সাপোর্ট করে। ইংরেজি গ্রামারটিকাল চেক গুলো আমরা ব্রাউজার থেকে করতে পারবো কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে আলাদা অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে।গ্রামাটিক্যাল এরর চেক করার বেসিক নিয়ম গুলো সম্পর্কে আজকে জানবো। কোন পোষ্টের ভেতর ইংরেজি লেখার নিচে যদি লাল দাগ থাকে তাহলে বুঝতে হবে লেখাটি ভুল আছে।
সে ক্ষেত্রে লাল দাগটির নিচে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলে লোডিং ডিকশনারি উঠবে সেখান থেকে আপনি সঠিক লেখাটি সিলেক্ট করে দিতে পারেন। বাংলা বানান সংশোধনের ক্ষেত্রে সমস্ত লেখাগুলো লিখে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে অভ্র স্পেল এর উপর লিখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি স্ক্রিনের বাম পাশে থাকা টেপ ম্যানের উপর চাপ দিয়ে অভ্র স্পেল চেকার সফটওয়্যারটি বের করে নিতে হবে।
অভ্র স্পেল চেকারে কোন কিছু ভুল লিখলে সেগুলো সংশোধন করতে ইস্পেল চেক অথবা কীবোর্ড শর্টকাট হলো ফাংশন কি এফ ৭ একসাথে চাপ দিলে কোন বানানটি ভুল সেটা ধরতে পারবে। এবং সেখানে সাজেশন দিবে কোন বানানটা ঠিক বা আপনি কোন বানানটা নিতে চান।
কপিরাইটিং বিশ্লেষণ
কপিরাইটিং কি, কিভাবে কাজ করে, কপিরাইটিং এর সম্পূর্ণ বিচার বিশ্লেষণ এবং রিয়েল লাইফ উদাহরণ। কপিরাইটিং জানার ক্ষেত্রে যে তিনটা বিষয়ে জানা দরকার তা হলAttention,Promise,Call to action.
আপনার যখন কোন কিছু দেখে নজর আটকে যায় বা আপনি আকৃষ্ট হন সেই বিষয়ে প্রতি সেটাই হল Attention একজন কাস্টমারকে আকৃষ্ট করার জন্য আকর্ষণীয় বা চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাই হলো অ্যাটেনশন।
মানুষকে Attention করার জন্য যে বিজ্ঞাপন টা আপনি দিবেন তার মধ্যে অবশ্যই Promise করানোর মতো কোন কথা থাকতে হবে। কেননা আপনি যে Promise টা করবেন সে অনুযায়ী তাকে সার্ভিস প্রদান করতে হবে সেটা তাকে বোঝাতে হবে। এমন Promise করার মত কোন কিছু আপনার বিজ্ঞাপনের মধ্যে থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ লং টেল কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানুন
আপনি কাস্টমারকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আকৃষ্ট করলেন এবং কি সার্ভিস দিবেন সে সম্পর্কে প্রমিস করলেন এর পরের ধাপটি হলো প্রোডাক্টটি বিক্রি করে দেওয়া বা যাকে আমরা বলি Call to action.
কপিরাইটিং জিনিসটা হলো কোন ব্যক্তির Attention সিক করে তাকে কিছু Promise করার মাধ্যমে তাকে কোন কিছু বিক্রি করা বা কোন সেবা তার কাছে পৌঁছে দেওয়া এটাই হচ্ছে আসলে কপিরাইটিং।
Plagiarism কি? কেন করবেন না
Plagiarism জিনিসটা কি,, কেন ব্যবহার করবেন না ,এটা করলে কি লস, কি লাভ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। চলুন শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক Plagiarism জিনিসটা আসলে কি? মনে করেন এটা সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছেন আপনার ওয়েবসাইটে সেই পোস্টের পুরো অংশ কোন একজন ব্যক্তি কপি করে নিয়ে তার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিয়েছে।
আবার অন্য কেউ ধরুন পুরো পোস্ট কপি করেনি অর্ধেক পোস্ট কপি করে তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিয়েছে। আবার ধরুন আপনার লেখা পুরো পোষ্ট কপি করেনি কয়েকটা প্যারা কপি করেছে। কিন্তু আপনাকে কোনরকম ক্রেডিট দেয়নি । যে কাজগুলোর কথা উল্লেখ করলাম এই ধরনের কাজগুলোকে Plagiarism বলে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনার লেখা কপি করে অন্য কোথাও পেস্ট করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া কেই বলে Plagiarism আপনার নিজের লেখা যদি কেউ তার বলে চালিয়ে দেয় তাহলে সেটা একটা অপরাধ মূলক কাজ এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ করা যাবে না। এটাতে কপিরাইটের ইস্যু রয়েছে।
যদি আপনি Plagiarism করেন বা আপনার লেখা কেউ কপি করে তাদের ওয়েবসাইটে চালায় সে ক্ষেত্রে আপনি তাদের নামে কপিরাইট স্টাইক দিতে পারেন। আপনার লেখা অন্য কেউ চুরি করেছে কিনা সেটা আপনি কিভাবে বুঝবেন চলুন জেনে নেয়া যাক।
আপনার যে পোস্ট সম্পর্কে সন্দেহ হচ্ছে যে এটা কপি করা হয়েছে সেই পোস্টের পোস্টের লিংক কপি করে সেটা গুগলে গিয়ে copyscape.com এই ওয়েবসাইটের ভেতরে চলে আসবেন। তারপর সেই লিংকটা পেস্ট করে গো বাটনে ক্লিক করবেন।
তারপর আপনার সামনে একটা ফলাফল আসবে যে এই পোস্টটা কেউ চুরি করেছে কিনা। এছাড়াও আপনার লেখাটা কেউ চুরি করেছে কিনা সেটা বোঝার জন্য আপনি আপনার পোষ্টের কিছু অংশ কপি করে গুগলে পেস্ট করে গো বাটনে চাপ দিলে ফলাফল দেখতে পাবেন।
শেষ কথা
একটি ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হয়।আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সব সময় সতর্ক থাকা জরুরী। একটা ওয়েবসাইটকে ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে ভালো ভালো পোস্ট পাবলিশ করা সব থেকে বেশি জরুরী।
আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url