আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

ড্রাগন ফলের উপকারিতাবাদাম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে । তবে বাদাম খেতে যারা পছন্দ করে তাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি নাম হলো আখরোট।চলুন তাহলে আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন।

আখরোট এর উপকারিতা ও অপকারিতা - আখরোট খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে ও হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সহায়তা করে আখরোট।এছাড়াও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করে ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃআজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আখরোট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবো।তাই আর দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পরা যাক।

আখরোট এর উপকারিতা - ভূমিকা

আখরোট দুই ধরনের হয়ে থাকে কালো ও বাদামি। তবে এই দুই ধরনের আখরোটই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আখরোটে ফ্যাট রয়েছে বলে অনেকেই এই বাদাম এড়িয়ে চলেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা হলো এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 

চলুন তাহলে জেনে নেই আর্টিকেলটিতে আখরোট সম্পর্কে কি কি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আজ আমরা আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারবো আখরোট খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, আখরোট খাওয়ার সময়, আখরোট এর দাম কত, আখরোট এর ছবি, আখরোট এর উপকারিতা ও অপকারিতা ও আখরোট ও মধুর উপকারিতা সম্পর্কে।

আখরোট খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

পুষ্টিবিদদের মতে নিয়মিত আখরোট খেলে নানা উপকারিতা পাওয়া যায়। আখরোট খাওয়ার কোন নিয়ম নেই।প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি আখরোট সেবন করতে পারেন।আপনার সুবিধামতো দিনের যেকোনো সময় আপনি আখরোট সেবন করতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় আগের দিন রাতে আখরোট ভিজিয়ে রেখে পরের দিন তা সেবন করলে। 


এতে আপনি আখরোটের প্রচুর উপকারিতা পাবেন। আপনারা যারা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তারা যদি মধুর সাথে আখরোট মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে দ্বিগুণ উপকারিতা পাবেন। নিয়মিত আখরোট খেলে শরীরের অনেক ধরনের উপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক নিয়মিত আখরোট খাওয়ার উপকারিতা সমূহ।
  • আপনি যদি প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় আখরোট রাখতে পারেন তাহলে তা ডায়াবেটিসের জন্য ভালো। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন নিয়মিত আখরোট খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। বিশেষ করে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
  • ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার হল আখরোট যা মানসিক চাপ ও হতাশা কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি নিয়মিত আখরোট খেতে পারেন তাহলে তা আপনার মুড ভালো রাখতে সহায়তা করবে।
  • আখরোটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । যা ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে
  • আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, জিংক ও আয়রন। আপনি যদি নিয়মিত আখরোট খেতে পারেন তাহলে আপনার বিপাক ক্রিয়া ভালো থাকে এবং ওজন কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে। যার কারণে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
  • হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আখরোট খুবই উপকারী। কারণ আখরোটে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি এসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম যা হাড় ও দাঁতের জন্য খুবই উপকারী।
  • আখরোট খেলে বিপাক ক্রিয়া উন্নত হয় যার কারণে ভালো ঘুম হয়। তাই সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আখরোট খেতে পারেন।
  • আপনি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যাবে এবং ভালো কোলেস্ট্রল বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকবে।

আখরোট খাওয়ার সময়

আখরোট খুবই উপকারী একটি বাদাম। আখরোট সাধারণত ড্রাই ফুড হিসেবে বেশি খাওয়া হয়। আপনি যদি নিয়মিত আখরোট খান তাহলে এই আখরোট থেকে যে সকল পুষ্টি উপাদানগুলো আপনি পাবেন তা হল প্রোটিন, ফাইবার, স্নেহ পদার্থ, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এছাড়াও আখরোটে আরো বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। 

আখরোট যেকোনো সময় আপনারা খেতে পারেন। আখরোট খাওয়ার কোন বাধা ধরা নিয়ম নেই। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, আখরোটের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে হলে ও হজম শক্তি বাড়াতে প্রতিদিন রাতে আখরোট পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খাওয়া ভালো। তবে পানির পরিবর্তে দুধ অথবা মধুর সঙ্গে সকালে আপলোড খাওয়া যেতে পারে।

এছাড়াও একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন পাঁচটি আখরোট খেতে পারবেন। একদিনে পাঁচটির বেশি আখরোট খাওয়া মোটে উচিত নয়। আপনি যদি পাঁচটির বেশি আখরোট খান তাহলে তা আপনার শরীরে উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি করবে। তাই অবশ্যই নিয়ম মেনে আখরোট খাবেন সুস্থ থাকবেন।

আখরোট এর দাম কত

বাদাম জাতীয় উপাদানের মধ্যে আখরোট খুবই উপকারী একটি উপাদান। প্রতিদিন আখরোট খাওয়ার ফলে শরীরে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই বর্তমান সময়ে আখরোটের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বর্তমানে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা আখরোটের দাম নিচ্ছে ঠিকই কিন্তু ভালো মানের আখরোট বক্তাদের দিচ্ছে না। 


তাই আপনারা যেখান থেকেই আখরোট ক্রয় করেন না কেন অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে ক্রয় করবেন। কারণ বর্তমান বাজারে ১ কেজি ভালো মানের আখরোটের দাম ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা লো কোয়ালিটির আখরোট ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয় কম দামে। 

লো কোয়ালিটি এক কেজি আখরোটের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। তাই অবশ্যই আপনি আপনার এলাকার বাজার দর যাচাই করে তারপর ভালো কোয়ালিটির আখরোট কিনবেন। কারণ ভালো কোয়ালিটির আখরোটে পুষ্টি উপাদান ভালো পরিমাণে পাবেন।

আখরোট এর ছবি

অনেকে আছে যারা এখনো আখরোট চেনে না। তবে বিভিন্ন জায়গায় বা বিভিন্ন মাধ্যমে আখরোটের নাম শুনেছেন। তাদের সুবিধার জন্য নিচে আখরোটের ছবি দেওয়া হল। আশা করছি আপনারা ছবিটি দেখে আখরোট বাদামটি চিনতে পারবেন।
আখরোট এর উপকারিতা
আখরোট বাদাম

আখরোট এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আখরোট হল একপ্রকার বাদাম য পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমাদের শরীরে যে পুষ্টি উপাদান গুলো দরকার সেই পুষ্টি উপাদান গুলো আখরোটে রয়েছে। নিয়মিত যদি আপনি আখরোট সেবন করতে পারেন তাহলে প্রচুর উপকারিতা পাবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আখরোটের উপকারিতা সমূহ।

ডায়াবেটিকস প্রতিরোধ করে

বর্তমান সময় দেখা যাচ্ছে টাইপ টু ডায়াবেটিক্স মারাত্মক আকার ধারণ করছে। চিকিৎসকদের মতে, যেকোনো ধরনের বাদামী ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আপনারা যারা নিয়মিত আখরোট সেবন করেন তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম। 

এর কারণ আখরোটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে খাইবার পাওয়া যায় যা ডায়াবেটিকস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের খাদ্য তালিকায় ফাইবার জাতীয় খাবার অবশ্যই রাখা উচিত।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে

আখরোট কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই উপকারী কারণ আখরোটে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। 


এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত আখরোট সেবন করতে পারেন তাহলে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এজন্য আপনার হৃদযন্ত্র কে সুস্থ রাখতে নিয়মিত আখরোট সেবন করতে পারেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে

আখরোট হল ফাইবারের একটি ভালো উৎস যার কারণে আপনি যদি নিয়মিত আখরোট খান তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। আখরোট হজম শক্তি বৃদ্ধি ও লিপিড পরিপাক করার ক্ষমতা উন্নত করে। এছাড়াও আখরোটে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন উপস্থিত থাকে যা দেহের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। 

তাই আপনি যদি আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় আখরোট অবশ্যই রাখুন। তবে একটি কথা মনে রাখা উচিত কখনোই পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।

শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়

আখরোটে ভিটামিন ই, মেলাটনিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। তাই আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ও স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি সঠিকভাবে করাতে চাইলে ছোটবেলা থেকেই আখরোট খাওয়াতে পারেন। নিয়মিতভাবে আখরোট সেবন করলে বয়স্ক মানুষদেরও স্মৃতিশক্তি উন্নত হতে থাকে।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে

আমাদের মস্তিষ্কের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাবারের তালিকায় রয়েছে আখরোট। আখরোট খেলে মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে এবং বয়সজনিত স্নায়ক হয় নিয়ন্ত্রিত হয়। আখরোটে রয়েছে ফ্যাটি এসিড DHA ও অন্যান্য উপাদান উপস্থিত থাকে যা মস্তিষ্কের গঠন ও কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। যার কারনে মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ চাপ কমে ও স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস এবং আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে উচ্চ রক্তচাপ এখন প্রায় সকল ঘরে ঘরে দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। আপনি যদি নিয়মিত আখরোট সেবন করেন তাহলে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

এর কারণ হলো আখরোটে রয়েছে ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম যা উঁচু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই আখরোট থাকা প্রয়োজন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

পলিফেনলস, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অন্যান্য উপাদান আখরোটে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই উপাদান গুলিতে রয়েছে এন্টিক্যান্সার বৈশিষ্ট্য। যার কারনে আখরোট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 

বিশেষ করে আখরোট কোলন ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আমেরিকান ক্যান্সার রিসার্চ এসোসিয়েশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিদিন কয়েকটি আখরোট সেবন করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে

আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বি যা ত্বক সুস্থ রাখার জন্য খুবই উপকারী। আপনার ত্বকে যদি বয়সের ছাপ ও বলিরেখা পড়ে থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত আখরোট খেতে পারেন। কারণ আখরোটে থাকা উপাদান আপনার ত্বকের বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করবে। 

বয়সের সাথে সাথে ত্বকের বলিরেখা দেখা দেয় যা ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। এর মূল কারণ হলো ফ্রী রেডিক্যালস। আখরোটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বি এই ফ্রি রেডিক্যালস কমিয়ে ত্বককে সুন্দর করে এবং ত্বকের বলি রেখা কমতে শুরু করে।

অনিদ্রা দূর করে

ঘুম ভালো হলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি শরীর সুস্থ ও সবল করতে ঘুম খুবই কার্যকর। মানুষের ভালো ঘুমের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো মেলাটোনিন। মানব শরীরে মেলাটোনিম থাকলে ঘুম ভালো হয় আর আখরোটে প্রচুর পরিমাণ মেলাটোনিন রয়েছে। 

এজন্য আপনি যদি আপনার অনিদ্রা দূর করে গভীর ঘুম উপভোগ করতে চান তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় আখরোট অবশ্যই রাখুন।

শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করে

পুরুষদের দেহে শুক্রাণুর মান বাড়াতে আখরোট বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। আপনার খাদ্য তালিকায় যদি আখরোট সংযোজন করেন তাহলে তা শুক্রাণু এবং বীর্যের উৎপাদন বাড়িয়ে দিবে। আপনি প্রতিদিন মধুর সাথে আখরোট মিশিয়ে সেবন করতে পারেন এতে সুফল পাবেন। 

গবেষণায় দেখা যায় যে আখরোটে থাকা অ্যান্ডিঅক্সিডেন্ট অক্সিটেটিভ চাপ কমায় যা পুরুষদের যৌন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

উপরে উল্লেখিত উপকারিতা ছাড়াও আখরোটে প্রচুর উপকারিতা রয়েছে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হাড় মজবুত করে ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

আখরোট এর অপকারিতা

আখরোট মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। শরীরের উপকারিতার জন্য আখরোট খাওয়া হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত আখরোট খেয়ে ফেলেন তাহলে তা আপনার শরীরের উপকারের থেকে অপকারিতা বেশি করবে। 

তাই অন্য সব খাবারের মতো আখরোট প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এর সাথে আমাদের যে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার চলুন জেনে নেই।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে আখরোট সেবন করলে লিভারের সমস্যা হতে পারে।
  • এছাড়াও আপনার যদি এলার্জি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আখরোট সেবন করার আগে অবশ্যই সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
  • কালো আখরোটে থাকা ফাইটেটস শরীরের আয়রন শুষে নিতে পারে। যার কারণে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

আখরোট ও মধুর উপকারিতা

আখরোটে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য কয়েকটি আখরোটি যথেষ্ট। তবে আপনি যদি আখরোটের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে এই উপাদানটি আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও এই দুটি উপাদান একসাথে সেবন করার ফলে শরীরে অনেক উপকারিতা পাবেন। 

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো পুরুষদের জন্য আখরোট বাদাম এবং মধু একটি ইরেকশন পুনরুদ্ধারের ভালো হাতিয়ার। দুটি উপাদানে এমন পদার্থ রয়েছে যা টেস্টোস্টোরেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। টেস্টোস্টোরেন এমন একটি পুরুষ হরমোন যা পুরুষের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

এই মিশ্রণটি পুরুষদের দেহে শুক্রাণুর মান বাড়াতে সহায়তা করে সাথে সাথে যৌন সম্পর্কের সময় বাড়ানোর জন্য খুব উপকারী এবং পুরুষদের মধ্যে যৌন ফাংশন পুনঃস্থাপন করে থাকে। তাই আপনার যদি শারীরিক দুর্বলতা থেকে থাকে তাহলে নিয়মিত আখরোট ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। কিছুদিনের মধ্যেই ফল পাবেন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো আজকের আর্টিকেল থেকে আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। 

এছাড়াও আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে নিচে কমেন্টে বক্সে লিখে জানান। আশা করছি আমরা খুব দ্রুত আপনার কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url