মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনার ৩০ টি পয়েন্ট
১৬ই ডিসেম্বর কি জানুনপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য সহজ ও সাবলীল ভাষায় মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা ৩০ পয়েন্ট আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি রচনাটি যদি তোমরা ভালোভাবে পড়ো তাহলে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাবে।
মানব কল্যাণে বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য। বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে করেছে সহজ থেকে সহজতর। মানবকল্যানে বিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম।
পোস্ট সূচিপত্রঃআজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা টির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্পর্কে।
মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা-ভূমিকা
মানব কল্যাণের নিকট বিজ্ঞান হলো এক অনন্ত আশীর্বাদ। যা কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়ত সকল মানুষ নিজের জীবনকে উন্নত থেকে উন্নততর করে তোলার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের এই ব্যাপক অগ্রগতি হলো বিশ্বব্যাপী মানব কল্যাণে।
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নেই এই আর্টিকেলে মানব কল্যাণে বিজ্ঞানের কোন কোন পয়েন্ট গুলো আলোচনা করা হয়েছে মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা ২৫ পয়েন্ট,মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা ২০০ শব্দ,মানবকল্যাণে বিজ্ঞান রচনার ৩০ টি পয়েন্ট,
মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা pdf download,মানব জীবনে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট,মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 7,মানবকল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 6,মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 10 সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা ২০০ শব্দ
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধু, তুমি হয়তো মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা ২০০ শব্দ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছ? আজ আমি তোমাদের সুবিধার্থে সহজ ও সরল ভাষায় ২০০ শব্দের রচনাটি উপস্থাপন করছি। আশা করছি রচনাটি পড়লে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাবে।
ভূমিকা
আদিম যুগ এবং বর্তমান যুগের বিজ্ঞানের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যদিও আদিম যুগ থেকেই বিজ্ঞানের আবিষ্কার শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে এর পরিবর্তন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে যার ফলস্বরূপ আমাদের আধুনিক বিশ্ব। শুধুমাত্র বিজ্ঞানের জন্যই এই আধুনিকতা সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ফলে আমরা পেয়েছি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করার নানা উপকরণগুলো। হাজার হাজার বছর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা আমাদের এই আধুনিক বিশ্ব উপহার দিয়েছে। যার ফলে আমাদের জীবন সহজ সরল ও সুন্দর হয়েছে।
আমরা ইচ্ছা করলে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খুব কম সময়ের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারি যা একসময় ছিল শুধু স্বপ্ন মাত্র।
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান
বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি মুহূর্ত ভাবা যায় না। বিজ্ঞান এমনভাবে মানুষের জীবনের সাথে জড়িয়ে পড়েছে যে একে বাদ দিয়ে চলা অসম্ভব। আধুনিক জীবন বলতে আমরা বুঝি যে জীবন চিন্তা চেতনায় অগ্রগতিশীল, নিজের জীবন সম্পর্কে সচেতন এবং নতুন কে গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।
যার কারণে অন্ধ গুহার পরিবর্তে আলোক পিয়াসী হয়ে মানুষ বেছে নিয়েছে সুদৃশ্য নিকেতন। বিজ্ঞান মানুষের জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করা বা মাইক্রো ওভেনে রান্না করা খাদ্য খাচ্ছে। এছাড়াও লজ্জা নিবারনের জন্য তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক ব্যবহার করছে যা অতীতে অসম্ভব ছিল।
মোটকথা বিজ্ঞানের পরসে আজ আমাদের জীবন হয়েছে সহজ ও সুন্দর। ধীরে ধীরে বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে মানুষের জীবনকে সহজ করার বিভিন্ন যন্ত্র। যা বর্তমানে আমরা ব্যবহার করছি।
উপসংহার
মানুষ বিজ্ঞানের আশীর্বাদে আধুনিক জীবনে পদার্পণ করেছে বসবাস করছে আকাশচুম্বী অট্টালিকায়। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে পৃথিবী আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। মানব জীবন সুখী সমৃদ্ধ আরাম আয়ুষ পূর্ণ ও নিরাপদ করতে বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের বিশেষ অবদান রয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে জাতির জীবনে উন্নতি ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত হচ্ছে।
মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনার ৩০ টি পয়েন্ট
আজ আলোচনা করব মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা ৩০ টি পয়েন্ট সম্পর্কে।মানব কল্যাণে বিজ্ঞানের অবদান সব থেকে বেশি। বিজ্ঞান এমনভাবে মানুষের সাথে জড়িত যে মানুষ না চাইতেও বিজ্ঞানের সাহায্য নিতে বাধ্য। প্রত্যেকটি কাজের সাথে বিজ্ঞান জড়িত। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মানুষ বিজ্ঞানের সাথে জড়িত।
ভূমিকা
আদিম যুগের মানুষ পাথর কেটে গুহা তৈরি করে সেখানে বসবাস করত। কিন্তু ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের আশীর্বাদে মানুষ আধুনিক জীবনে পদার্পণ করেছে। তৈরি করেছে আকাশচুম্বী বিভিন্ন অট্টালিকা। শুধুমাত্র বিজ্ঞানের বদৌলতেই পৃথিবী আজ সকল মানুষের হাতের মুঠোয়।
মানব জীবন যে এত আরাম আয়েশে জীবন যাপন করছে, চারিদিকে এত আলো ঝলমল করছে এর সবই বিজ্ঞানের অবদানে জন্য সম্ভব হয়েছে। সারা পৃথিবীতে যেদিকেই তাকানো যায় শুধুমাত্র বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় পরিলক্ষিত হয়।
বিজ্ঞানের কারণে আজ মানুষ আকাশে উড়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। দীর্ঘ সময় লাগতো যে কাজ করতে বর্তমানে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই কাজগুলো করা যাচ্ছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের বদৌলতে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে জাতীয় জীবনে উন্নতি ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত হচ্ছে।
বিজ্ঞান কি
পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে সুসংবদ্ধ সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত যে জ্ঞান তাকেই বিজ্ঞান বলা হয়। ল্যাটিন শব্দ সায়েনটিয়া থেকে ইংরেজি সাইন্স শব্দটি এসেছে। এর অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় বিশেষ জ্ঞান।
বিজ্ঞানের যয়যাত্রা
বিজ্ঞান সৃষ্টির বিজয় রথে চড়ে মানুষ আজ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাত্রা করছে অনায়াসে। আগে যে মহাকাশ রহস্যময় ছিল বর্তমানে তা বিজ্ঞানের জয়যাত্রার ফলে মহাকাশযানে চড়ে পাড়ি দেওয়া যাচ্ছে মহাকাশের বুকে। মহাকাশে নীহারিকাপুঞ্জ আজ রহস্যময় নয়।
আগে যা পৃথিবীর কাছে রহস্যময় ছিল বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় খুলে গেছে সমস্ত রহস্য। অন্ধকার অচেনা জগত এখন সবার কাছে পরিচিত।
সংবাদ মাধ্যেমে বিজ্ঞান
সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞানের গুরুত্ব অনেক। কারণ কোথাও কোন ঘটনা ঘটলে সেই ঘটনাটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হল বিজ্ঞানের যন্ত্র। যেমন টেলিভিশন, মোবাইল, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে এক দেশ থেকে অন্য দেশে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল রয়েছে যেগুলো সংবাদ তৈরি করে এবং এই ধরনের যন্ত্রের মাধ্যমে সবার কাছে সংবাদ পৌঁছে দেয়। যার কারণে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ বিজ্ঞান ছাড়া কোন খবরই কারো কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
গৃহস্থালীর কাজে বিজ্ঞান
বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে আমাদের ঘরের প্রত্যেকটি কাজ বা গৃহস্থালির কাজে বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞানের সাথে জড়িত।
রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ঘরের আসবাবপত্র এমনকি বর্তমানে পোশাক আশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ধীরে ধীরে এর পরিসর হয়তো আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে বর্তমানে যে পর্যায়ে বিজ্ঞান আমাদের সাথে জড়িত আমাদের গৃহস্থালীন কাজের সাথে জড়িত তা একসময় আরও বৃহৎ পরিসরে যোগ হবে।
মহাশূন্যের রহস্য উদঘাটনে বিজ্ঞান
মানুষের কৌতুহলী মন আজ বিজ্ঞানের বলে মহাশূন্যের রহস্য উদঘাটনে ব্যাপককৃত হয়েছে। মানুষ চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালিয়েছে।যে মহাশূন্য ছিল একসময় মানুষের কাছে রহস্যে ঘেরা। সেই মহাশূন্যে এখন মানুষ যাচ্ছে এবং সেখানকার তথ্য সবাইকে জানাচ্ছে এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের কারণে।
বিজ্ঞানের বদলাতে মহাশূন্যে মানুষ গিয়ে সেখানকার তথ্য সংগ্রহ করছে এবং সবাইকে জানাচ্ছে। যা আমাদের কাছে এক সময় রহস্যে ঘেরা স্বপ্ন মনে হতো আজ তা মানুষের কাছে পরিষ্কার একটি ধারণা।
জনসংখ্যা সমাধানে বিজ্ঞান
জনসংখ্যা সমাধানে বিজ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কারণ এমন এক সময় ছিল মানুষ অতিরিক্ত পরিমাণে বাচ্চাকাচ্চা নেওয়ার ফলে জনসংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের বদৌলতে মানুষ এতটাই বদলে গিয়েছে যে আগের সেই ভুল ধারণা গুলো তাদের ভাঙতে শুরু করেছে।
যার ফলে তারা একটা থেকে দুইটা বাচ্চা নিচ্ছে এবং ধীরে ধীরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের ফলে।
নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে বিজ্ঞান
আগে এমন একটা পর্যায়ে ছিল যখন মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। তবে বিজ্ঞানের বদৌলতে বর্তমানে বিভিন্ন কলকারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার ফলে মানুষ নতুন নতুন কর্মসংস্থানে যোগদান করতে পারছে। এই কর্মসংস্থানগুলো মানুষকে তার মেধা এবং মরণশক্তিকে শক্তিশালী করছে।
নিজের দেশে তৈরি হওয়া পোশাক অথবা যেকোনো পণ্য বাহিরের দেশে বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করা যাচ্ছে শুধুমাত্র এই বিজ্ঞানের কারণে।
বিজ্ঞান বনাম মানুষ
এক সময় মানুষ গুহায় বসবাস করত। ধীরে ধীরে মানুষ বিজ্ঞানের প্রতি আসক্ত হওয়ায় আদিম যুগ থেকে তারা বর্তমান যুগে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের মাধ্যমেই বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। কারণ মানুষ তার চিন্তা শক্তি দ্বারা বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে এবং বিজ্ঞানের ফলে মানুষ আজ এতটা সফল।
তাই বিজ্ঞান ও মানুষ একে অপরের সাথে জড়িত। কারণ মানুষ না থাকলে বিজ্ঞানের কোন অস্তিত্ব থাকত না আর বিজ্ঞান না থাকলেও মানুষ আধুনিক সমাজ গড়ে তুলতে পারতো না।
প্রযুক্তি বিজ্ঞান ও দারিদ্র্য
প্রযুক্তিবিজ্ঞান এতটাই উন্নত হচ্ছে যে এর ফলে ধীরে ধীরে দারিদ্রতা হ্রাস করা সম্ভব। বর্তমানে মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেমন নানাভাবে টাকা উপার্জন করতে পারছে তেমনি ভাবে প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ধীরে ধীরে মানুষের কর্মসংস্থান ক্ষীন ও হচ্ছে। যার ফলে দারিদ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কারণ বিজ্ঞানের কারণে আগে যে কাজ মানুষের সাহায্য করত বর্তমানে তা বিভিন্নভাবে যন্ত্রের সাহায্যে করা যাচ্ছে। যার কারণে কর্ম ক্ষেত্রে মানুষের চাহিদা কমে যাচ্ছে এবং দারিদ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞান আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ
বিজ্ঞান মানুষের জন্য আশীর্বাদ হিসাবেই বেশি পরিচিত। কারণ বিজ্ঞানের দ্বারাই মানুষ আদিকাল থেকে বর্তমান কালে আসতে সক্ষম হয়েছে। বিজ্ঞানের কারণে মানুষের জীবন এত সহজ হয়েছে। তবে বিজ্ঞান আমাদের জীবনে আশীর্বাদ স্বরূপ হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর খারাপ দিকও রয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ খুব সহজেই সম্পাদন করা যায় বলে বর্তমানে শ্রমিকের মর্যাদা তেমন একটা নেই। যার কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সাইবার ক্রাইম রয়েছে যেগুলো শুধুমাত্র বিজ্ঞানের কারণে হচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের আত্মত্যাগ
বিজ্ঞানের অগ্রগতি সঙ্গে যুগ যুগ ধরে বহু বিজ্ঞানী নিরলস শ্রম, সাধনা, মেধা অধ্যাবসায়ের সাথে জড়িত। এছাড়াও জড়িত রয়েছে অনেক বিজ্ঞানীর আত্মত্যাগ। সত্য কথা বলার কারনে বিজ্ঞানী ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।
মহান বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস, কোপার্নিকাস, গ্যালিলিও সহ প্রবক বিজ্ঞানী তাদের সমগ্র জীবন বিজ্ঞানের পিছনে ব্যয় করেছে। এই মানুষগুলোর অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্তমানে মানুষ অত্যাধুনিক বিজ্ঞানের যুগে উন্নীত হয়েছে।
প্রকৃতি নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
প্রকৃতি বিজ্ঞানে প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর বিস্তারিত বিবরণ, কার্যকলাপ, পূর্বাভাস থাকে তাই প্রকৃতি বিজ্ঞান। প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রকৃতি পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের গুরুত্ব রয়েছে। কারণ বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রকৃতির পূর্বাভাস সম্পর্কে জানা যায়।
ঝড় জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক আবহাওয়া সম্পর্কে দুই তিন দিন আগেই জানা যায় শুধুমাত্র বিজ্ঞানের কারণে। যার ফলে ঝড়ের পূর্বেই এর মোকাবেলা করা সম্ভব হয়। এছাড়াও জান ভালো রক্ষা করা যায়।
খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও পুষ্টিতে বিজ্ঞানের ভুমিকা
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকেরা কঠোর পরিশ্রম করে ফসল ফলায়। তবে সে ফসল আশানুরূপ হয় না। তবে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ফলে বর্তমানে হাইব্রিড জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে যে ফসল ফলানো যেত বর্তমানে বিজ্ঞানের কারণে তা দ্বিগুণ পরিমাণে ফলানো সম্ভব হচ্ছে। যার ফলে কৃষকেরা খুব সহজেই লাভবান হচ্ছে।
এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে সচেতন হওয়া যাচ্ছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের কারণে। কোন খাবারে কি পরিমান পুষ্টিগুণ রয়েছে তা জানতে পারছি আমরা শুধুমাত্র বিজ্ঞানের কারণে।
বিজ্ঞানের সৃষ্টি
মানব জীবনের কল্যাণের জন্যই আদিকাল থেকেই ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের কল্যাণের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনীষীরা বিজ্ঞানের আবিষ্কার চালিয়ে গেছে। আজ তাদের কষ্টের ফল হিসেবে আমরা পেয়েছি আলো ঝলমলে এই পৃথিবী। প্রকৃতিতে যত সম্পদ রয়েছে তা আহরণ করা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের দ্বারা।
বর্বর জীবনকে পশ্চাতে ধাওয়া করে বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ আজ সভ্যতার আলোকে উদ্ভাসিত ও সম্পদশালী। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শুরু করে চিন্তা ধারা ও জীবনের স্বপ্ন ও কল্পনার অমল পরিবর্তনের জন্য শুধুমাত্র বিজ্ঞানেরই অবদান রয়েছে।
বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা
আদিম যুগে মানুষের বিজ্ঞান সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। তবে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য যে মাধ্যমগুলো তারা ব্যবহার করত সেগুলো বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। এভাবেই ধীরে ধীরে তারা বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে এবং তাদের জীবনের পরিবর্তন ঘটায়। যা আমরা বর্তমান যুগে উপভোগ করছি।
আদি যুগ থেকেই মানুষ ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকে এবং একপর্যায়ে তারা সফলতা অর্জন করে। সেই থেকে ধীরে ধীরে বিজ্ঞান মানুষের জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে প্রত্যেকটা কাজে বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য হয়ে পড়েছে।
কায়িক শ্রম লাঘবে বিজ্ঞান
ধীরে ধীরে বিশ্ব এমন আধুনিক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে যে কায়িক শ্রম ধীরে ধীরে লাঘব হচ্ছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের দ্বারা। মানব কল্যাণের কথা চিন্তা করে প্রাচীন যুগে বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমান যুগে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে। কাইট শ্রম লাগাবেও বিজ্ঞান এমন ভাবে কাজ করছে যে ধীরে ধীরে এর পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আগে মানুষের উৎপাদন করতে অনেক বেশি কষ্ট হতো। কিন্তু বিজ্ঞানের বদৌলতে বিভিন্ন কলকারখানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে উৎপাদনের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। ফলে কায়িক শ্রমও অনেকটা লাঘব হয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের গুরুত্ব অনেক। সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠা এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মানুষের ব্যবহার করা প্রত্যেকটি জিনিসই বিজ্ঞানের আশীর্বাদ। বিজ্ঞান আছে বলেই মানুষ দ্রুততার সাথে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারছে। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে পড়াশোনা, চাষাবাদ প্রত্যেকটি কাজে বিজ্ঞান মানুষের সাথে বিশেষভাবে জড়িত।
বিজ্ঞানের মাধ্যমেই আলো ঝলমলে দুনিয়াটা মানুষ দেখতে পাচ্ছে। এরপর এসেছে টেলিফোন, মুঠোফোন, জেনারেটর, টেলিভিশন, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, লিফট ইত্যাদি। এই প্রত্যেকটি জিনিসই মানব কল্যাণে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে মানুষের জীবনকে সহজতর করতে। বিজ্ঞানের মাধ্যমে ধীরে ধীরে মানুষ অতীতকে ভুলে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আধুনিক জীবনযাপন উপভোগ করার জন্য।
কৃষি কাজে বিজ্ঞান
আদিম যুগে মানুষের জীবিকা উপার্জনের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং একমাত্র মাধ্যম ছিল কৃষি। আমাদের বাংলাদেশ হলো কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্তমানে কৃষি কাজের উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখছে।
সনাতন পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফসল ফলাতে হতো বর্তমানে বিজ্ঞানের বদৌলতে সেই কাজগুলো খুবই সহজ এবং সাবলীল হয়েছে। এছাড়াও বেশি ফসল উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক সার ও অধিক ফলনশীল বীজ, ফসলের ক্ষতিকর পোকা ধ্বংসের জন্য কীটনাশক এসবই বিজ্ঞানের আশীর্বাদস্বরূপ।
এছাড়াও জমিতে সেচ দেওয়া থেকে শুরু করে ফসল মারাইসহ প্রত্যেকটি কাজের জন্যই বিজ্ঞানের মাধ্যমে যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান অপরিসীম। কাগজ,-কলম, বই পত্র থেকে শুরু করে সবই বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার। এছাড়াও বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে অনায়াসে কুরআন শরীফ থেকে শুরু করে যে কোন বই অনায়াসে ডাউনলোড করে অথবা সার্চ করে পড়া যায়।
এছাড়াও রেডিও টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করা যায়। বর্তমানে বিজ্ঞান এমনভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখছে যে পড়াশোনা মানুষের কাছে খুবই সহজ এবং আনন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উন্নত চিকিৎসায় বিজ্ঞান
বিজ্ঞানের সবচেয়ে বেশি অবদান হলো চিকিৎসা ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র বিজ্ঞানের কল্যাণে চিকিৎসা ক্ষেত্রে রাতারাতি উন্নতি শিখরে পৌঁছে গেছে। আধুনিক জীবনে মানুষ বিভিন্ন রোগে যেমন আক্রান্ত হচ্ছে তেমনি এর চিকিৎসাও উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যার ফলে খুব সহজে রোগ নির্ণয় করে এর চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও মানুষ রোগাক্রান্ত হওয়ার আগেও বিভিন্ন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছে। শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ যেমন হার্ট, কিডনি, ফুসফুস, শিরা, ধমনী, যকৃত, যক্ষা, হৃৎপিণ্ড ও পাকস্থলীতে আক্রান্ত রোগী বিজ্ঞানের কাছে হার মেনেছে।
এছাড়াও রোগ নির্ণয়ের জন্য রয়েছে বিজ্ঞানের আশীর্বাদে বিভিন্ন যন্ত্র। যা খুব সহজেই যে কোন কঠিন রোগ অনায়াসে নির্ণয় করতে পারে। যার ফলে অতি দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া যায় এবং দ্রুত সুস্থতা লাভ করা যায়।
তথ্য প্রদানের বিজ্ঞান
বর্তমান আধুনিক যুগ হল তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তাই বর্তমানে যদি কোন আলোড়িত ও আলোচিত ঘটনা ঘটে তাহলে তা মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। বিজ্ঞানের মাধ্যমে এমন সব যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়েছে যা মুহূর্তেই যে কোন খবর ভাইরাল করে দিতে পারে।
যেমন কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, টেলিফোন, ইমেইল, এসএমএস, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট ইত্যাদি প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন স্থানে তথ্য আদান প্রদান করা খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে একে অপরের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায় যা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের কল্যাণে।
আধুনিক বিজ্ঞানের ফলে বর্তমানে ঘরে বসেই পত্রিকা পড়া যাচ্ছে শুধুমাত্র হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে। দিনজত যাচ্ছে বিজ্ঞানের অবদান তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া নির্ণয় বিজ্ঞান
এমন এক সময় ছিল যখন বিজ্ঞানের কোন ভূমিকা ছিল না মানুষের জীবনে। তখন মানুষ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে বুঝে নিত ঋতুচক্রের মাধ্যমে। মানুষ জানত কোন ঋতুতে কেমন আবহাওয়া হবে সেই অনুযায়ী তারা পদক্ষেপ নিতে। যার ফলে দেখা যেত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসংখ্য মানুষ প্রাণহারা তো এছাড়াও প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হতো।
কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষকে আর এ ধরনের ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয় না। কারণ বিজ্ঞানের মাধ্যমে বর্তমানে মানুষ এক দুই দিন আগের পূর্বাভাস অনায়াসে বলে দিতে পারে। যার ফলে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসা সম্ভাবনা থাকলে সেখান থেকে মানুষকে সরিয়ে আনা সহজ হয়। যার কারণে কোন প্রাণনাশের ঘটনা ঘটে না। এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের বদৌলতে।
সম্পদ আহরণে বিজ্ঞান
পৃথিবীতে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। যা আহরণ করতে বিজ্ঞানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের মাধ্যমে এমন সব যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করা হয়েছে যা দিয়ে মাটির গভীরে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদ অনায়াসে আহরণ করা যায়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মানুষ ভূগর্ভ থেকে খুব সহজে তেল, গ্যাস, কয়লা, লোহা, চুনাপাথরসহ নানা সম্পদ আহরণ করছে।
এই সম্পদ গুলো মানুষ নানাভাবে কাজে লাগাচ্ছে তাদের প্রয়োজনে। এছাড়াও বিজ্ঞানের আশীর্বাদে মানুষ নদীর পানি বাতাসের গতিকেও কাজে লাগাচ্ছে ও পরিত্যাক্ত বর্জ্য ও পশু পাখির বিষ্ঠা কেউ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে।
বিনোদনে বিজ্ঞান
মন ভালো থাকলে যে কোন কাজেই মন বসে। তাই মন ভালো রাখতে বিনোদনের জন্য বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে অনেক। কারণ মন ভালো থাকলে পড়ালেখা, কাজকর্ম সবকিছুই করতে ভালো লাগে।
তাই মানুষের মনকে প্রফুল্ল রাখতে বিজ্ঞানের বেশ কিছু আবিষ্কার রয়েছে যেমন মোবাইল, বেতার, চলচ্চিত্র, ক্যামেরা, টেলিভিশন, ডিস, বৈদ্যুতিক বাদ্যযন্ত্র, ইন্টারনেট ইত্যাদি। তাই কর্ম শেষে কর্ম ক্লান্ত মানুষ বিনোদনের মাধ্যমে মনকে উৎফুল্ল করে তোলে শুধুমাত্র এই বিজ্ঞানের মাধ্যমে।
শহুরে জীবনে বিজ্ঞান
শহরের জীবনের সাথে বিজ্ঞান ওতপ্রতভাবে জড়িত। কারণ সকালে ঘুম ভাঙ্গে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির হর্নের আওয়াজে ও অ্যালার্ম ঘড়ির আওয়াজে। ঘুম থেকে উঠে দিনের শুরুটা করতে হয় টুথপেস্ট আর ব্রাশ দিয়ে। এরপর সবাই এক পলক চোখ বুলিয়ে নেয় সংবাদপত্র থেকে। এরপর গ্যাস অথবা বিদ্যুতের মাধ্যমে রান্নাবান্না শেষ হয়। এরপর কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন যানবাহন।
সিঁড়ি থাকলেও এর বদলে ব্যবহার করা হয় লিফট। এরপর আসে দূর দূরান্ত খবর পড়ার জন্য বা পাঠানোর জন্য টেলিফোন, মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করার জন্য। এরপর গরমের সময় ক্লান্ত দেহটাকে আরাম দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় এসি বা ইলেকট্রিক পাখা।
এভাবেই সারাদিন বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা জীবন পরিচালনা করি। এমন ভাবে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা বিজ্ঞানের অবদান অনুভব করি।
যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
এমন এক সময় ছিল যখন কোন ধরনের যানবাহন ছিল না। কোথাও যেতে হলে পায়ে হেটে যেতে হতো যদি দূরে কোথাও যেতে হতো তাহলে কয়েকদিন সময় লেগে যেত সেখানে পৌঁছাতে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান যোগাযোগের ক্ষেত্রে অমূল পরিবর্তন এনেছে।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে সময় লাগে খুবই অল্প। এই সবই সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের জন্য। জল, স্থল, আকাশ বা নৌপথ সবকিছুতেই বিজ্ঞানের ছোঁয়া রয়েছে। যার কারনে খুব সহজেই মানুষ যাতায়াত করতে পারে।
গ্রামীণ জীবনে বিজ্ঞান
আগে গ্রামীণ জীবনের চিত্র ছিল অন্যরকম। যেখানে ছিল না কোন বিজ্ঞানের ছোঁয়া ছিল না কোন আধুনিকতা। তবে বর্তমানে এর অমল পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে শহুরে জীবনের মতো গ্রামীণ জীবনে ও বিজ্ঞানের ছোঁয়া রয়েছে। যা গ্রামের মানুষজনকে খুব সহজে তাদের কাজ সম্পাদন করতে সাহায্য করে।
শহরের মতো গ্রামেও বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি পৌঁছে গেছে। যা মানুষের কৃষিকাজের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাহায্য করছে। কৃষি কাজে কীটনাশক থেকে শুরু করে রাসায়নিক সার ও ট্রাক্টর ইত্যাদি এখন গ্রামীণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ।
বর্তমানে গ্রামে গেলেও দেখা যায় টিভি ,ফ্রিজ, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি সব প্রয়োজনীয় জিনিস যা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের মাধ্যমে।
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অপকারিতা
বিজ্ঞান যেমন মানুষের জীবনকে করেছে সহজ ,তেমনি এর বীভৎস রূপ মানুষকে নানাভাবে সমস্যায় ফেলেছে। বর্তমানে একটি ভয়ানক রূপ হলো পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার। বিজ্ঞানের ভালো দিকগুলো যেমন মানুষের জীবনকে অনেক উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছে তেমনি এর ভয়াবহ রূপ মানুষকে করেছে অসহায়।
এছাড়াও কম্পিউটার নামক মহাশক্তি আবিষ্কার সর্ব ক্ষেত্রে এর ব্যবহারের ফলে মানুষের বেকারত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও কম্পিউটারের মাধ্যমে দিন দিন মানুষ সাইবার অপরাধী হ্যাকিংসহ নানা ধরনের অপরাধ করছে। যার গতি রোধ করা প্রায় অসাধ্য কর।
এছাড়াও ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, শেয়ারিং সাইড ইত্যাদির মাধ্যমে ভুল তথ্য ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় যা সহিংসতা সৃষ্টি করে। এছাড়াও বিজ্ঞানের আবিষ্কারের বিভিন্ন বড় বড় কলকারখানা ও যন্ত্রপাতির বর্জ্য নষ্ট করছে আমাদের পরিবেশ।
ছাড়াও বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বড় বড় ডাকাতি সংঘটিত হচ্ছে। তবে সত্যিকার অর্থে জ্ঞানকে এগুলোর জন্য দায়ী করা ঠিক নয়। বরং প্রযুক্তির অপপ্রয়োগকারী মানুষেরাই এর জন্য দায়ী।
উপসংহার
মানুষের জীবনকে সহজ থেকে সহজ তরো করতে বিজ্ঞানের গুরুত্ব অনেক। আধুনিক জীবনে ক্রমও প্রবাহমান ছন্দের মূল চাবিকাঠি হল বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের একের পর এক আবিষ্কার মানুষ স্তম্ভিত হচ্ছে।
সহজ জীবনে যেমন বিজ্ঞান ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে গিয়েছে তেমনি গ্রামেও বিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম। তাই সচেতন জনসাধারণের প্রত্যেকেরই কর্তব্য গ্রামীণ জীবন ধারাতেও বিকৃত ক্ষেত্র প্রস্তুত করা।
মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 7
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা হয়তো মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 7 সম্পর্কে জানতে চাচ্ছ?এই রচনাটি সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছি শুধুমাত্র তোমাদের জন্য। চল তাহলে জেনে নেই মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনাটি জেনে নেই।
ভূমিকা
মানব সমাজের কাছে বিজ্ঞান খুলে দিয়েছে বিস্ময়কর সাফল্যের দ্বার। মানুষের জীবনকে এতটা সহজ করার জন্য সবার উপরে স্থান করে নিয়েছে বিজ্ঞান। বর্তমান মানব জীবন পুরোটাই বিজ্ঞান নির্ভর। মানুষ পুরোপুরিভাবে বিজ্ঞান নিয়ন্ত্রিত।
বর্তমানে মানুষ যা ভাবে বা স্বপ্ন দেখে পুরোটাই বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে। দিনে দিনে বিজ্ঞান এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠছে যে তার আবিষ্কারের ফলে সাধিত হচ্ছে মানব কল্যাণ।
বিজ্ঞানের কল্যাণধর্মী অবদান
মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে বিজ্ঞান সাধনায় মনোনিবেশ করেছিল। নিজেদের প্রয়োজনে এবং অন্যের মঙ্গলের জন্য বিজ্ঞান চর্চা আজও প্রবাহমান। বিজ্ঞানের কারণে মানুষের জীবন হয়েছে এতটা সহজতর। বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কার বা অবদান যদি মানুষের উপকারে না এসে অকল্যাণে ব্যায়িত হয়। তাহলে সে দোষ বিজ্ঞানের হবার কথা নয়।
কারণ মানুষ নিজের জন্য যে জিনিসটি আবিষ্কার করবে তা কখনোই চাইবে না খারাপ হোক। বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারের বর্ণনার মধ্য দিয়ে মানব কল্যাণের সাথে এর সম্পৃক্ত তাকে তুলে ধরতে আমরা সচেষ্ট হব।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
মানুষ অসুস্থ হয় এটা স্বাভাবিক। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পরেও অসুখ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায়। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান মানুষকে সহায়তা করে সুস্থতা লাভের জন্য। কারণ চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান সবচেয়ে বেশি। যেকোনো ধরনের রোগ থেকে খুব সহজেই বিজ্ঞানের মাধ্যমে সমাধান পাওয়া যায়।
রোগের প্রতিষেধক ও ঔষধ আবিষ্কার করে মানুষ চিকিৎসা বিজ্ঞানে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মানুষের ক্ষেত্রে মরণকে জয় করা সম্ভব নয় তবে অসুখকে জয় করা মানুষের পক্ষে সম্ভব করে তুলেছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
এমন এক সময় ছিল যখন যোগাযোগ করা মানুষের কাছে অনেক সময় সাপেক্ষ হত। তবে বর্তমানে যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সাফল্য মানুষের জীবনে পরম শান্তি এনেছে। বিজ্ঞানের কারণে আবিষ্কৃত হয়েছে দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রেন, অত্যাধুনিক বিমান ও জাহাজ। যা মানুষের হাজার কিলোমিটারের পথকে করেছে নিকটতম।
বিজ্ঞানের বিস্ময় কম্পিউটার
যেদিন থেকে কম্পিউটার আবিষ্কার হয়েছে সেদিন থেকেই যেন সারা পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। কারণ একটি কম্পিউটার যে কাজ করতে পারে হাজার হাজার শ্রমিকের দারাও সেই কাজ করা সম্ভব হয় না। মানব শ্রমের এর সাশ্রয় পৃথিবীর জন্য একটি বড় ঘটনা ।
কম্পিউটারের মাধ্যমে শুধুমাত্র কঠিন কাজই সহজ হয় না অনেক অসম্ভব কেউ সম্ভব করা যাচ্ছে শুধুমাত্র কম্পিউটারের মাধ্যমে। মুদ্রণ কাজ থেকে মহাকাশ গবেষণা এমন কোন কাজ নেই যা কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় না।
মানব কল্যাণে বিদ্যুৎ
বিদ্যুৎ ছাড়া কোনভাবেই মানুষ থাকতে পারবে না বর্তমান সময়ে। কারণ বিদ্যুতের মাধ্যমে সমস্ত কাজ খুব সহজেই সম্পন্ন হয়। শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত বিদ্যুতের ব্যবহার প্রত্যাহেক জীবনে জড়িত রয়েছে। বিদ্যুৎহীন একটি দিনও কল্পনা করা মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
কারণ বিদ্যুৎ ছাড়া একটি বাতিও জ্বলবে না। শহরের নগরে গ্রামেও পথে প্রান্তরে যত বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে তা বিজ্ঞানেরই এক বিস্ময়কর অবদান।
বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক প্রভাব
সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানের অগ্রগতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে পৃথিবী দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মানব কল্যাণের দিকে। পৃথিবীকে সুন্দর ও সহজতর করার জন্য বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্র আবিষ্কার করছে। মানুষের শুভ বুদ্ধি এবং বিজ্ঞান চর্চা অনাগতদিনেও অব্যাহত থাকবে এবং এর সুফল মানুষ ভোগ করবে।
উপসংহার
ধীরে ধীরে বিজ্ঞান উত্তরণের সমৃদ্ধি পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে আর মানব সমাজ ভোগ করছে এর সুফল। পৃথিবী যতদিন থাকবে বিজ্ঞানের সুফল মানুষ ততদিন ভোগ করবে। কারণ বিজ্ঞান শুধুমাত্র মানবকল্যাণের জন্যই আবিষ্কৃত হয়েছে।
মানবকল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 6
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা হয়তো মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 6 সম্পর্কে জানতে চাচ্ছ?এই রচনাটি সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছি শুধুমাত্র তোমাদের জন্য। চল তাহলে জেনে নেই মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনাটি জেনে নেই।
ভূমিকা
বিজ্ঞানের আশীর্বাদে পৃথিবী আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। প্রাচীন যুগের মানুষ বিজ্ঞান চর্চা করেছিল বলেই আজ আমরা এই আধুনিক সভ্য জাতি পেয়েছি। বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ আজ আকাশে বাতাসে উড়ে বেড়াতে পারছে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে আমরা কোন কাজ বিজ্ঞানের মাধ্যম ছাড়া করতে পারি না। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে জাতীয় জীবনের উন্নতি ও অগ্রগতি ও ত্বরান্বিত হচ্ছে।
প্রাচিন যুগে বিজ্ঞান
মানুষ একসময় গুহায় বসবাস করত। তখন তাদের খাদ্য ও বছরের জন্য অনেক কষ্ট করতে হতো। বছর হিসাবে তারা ব্যবহার করত বিভিন্ন গাছের পাতা এবং খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করত বিভিন্ন পশু পাখির মাংস ও ফলমূল। এভাবে তারা ধীরে ধীরে পশু শিকার করতে শেখে এবং বিভিন্ন পাহাড় কেটে কেটে গুহা তৈরি করে সেখানে বসবাস করে।
তখন থেকেই ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের চর্চা শুরু করে শুধুমাত্র মানব কল্যাণের জন্য। মানব জীবনের কথা চিন্তা করে আদিম কালে গোপনে বিজ্ঞান চর্চা শুরু হয়েছিল। যা ধীরে ধীরে বর্তমান সভ্যতায় রূপ নিয়েছে।
আধুনিক যুগে বিজ্ঞান
আধুনিক যুগে বিজ্ঞান মানুষের সাথে এমন ভাবে জড়িত হয়ে পড়েছে যে বিজ্ঞানের আবিষ্কার ছাড়া মানুষের চলা সম্ভব নয়। কারণ আধুনিক যুগ এমন একটি যুগে পৌঁছেছে যে বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত প্রত্যেকটি জিনিস আমরা আমাদের প্রত্যেক জীবনে ব্যবহার করছি। কারণ ঘুম থেকে উঠে দিনের শুরু হয় টুথপেস্ট আর টুথব্রাশ দিয়ে।
এরপর সংবাদপত্র। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে অফিস আদালতে যাওয়ার পথে যে আমরা যানবাহন ব্যবহার করি এগুলোর প্রত্যেকটি বিজ্ঞানের আশীর্বাদস্বরূপ। তাই বলা যায় আধুনিক জীবনে বিজ্ঞান মানব জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
প্রতিদিন বিজ্ঞান
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যে আমরা যে কাজই করি না কেন তার প্রত্যেক টি বিজ্ঞানের আশীর্বাদ। কারণ প্রতিদিন আমাদের ঘুম ভাঙ্গে গাড়ির হর্নের শব্দে। এরপর ঘুম থেকে উঠে দিনের শুরু হয় টুথপেস্ট আর টুথ ব্রাশ দিয়ে। এরপর আসে সংবাদপত্র। তারপর গ্যাস অথবা হিটার কিংবা স্টোরে আমরা তাড়াতাড়ি রান্না করে খাই।
এরপর অফিস যাওয়ার জন্য রিক্সা,, ট্রেন, বাস বা মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। সিঁড়ির বদলে লিপট ব্যবহার করে উপরে ওঠে অফিস করি। দূর দূরান্তে খবর পাঠানোর জন্য ব্যবহার করি টেলিফোন, টেলিগ্রাম, ইমেইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি। কম্পিউটারে কাজের বিষয় লিখে রাখি।
ক্লান্ত দেহটাকে আরাম দেওয়ার জন্য এসি কিংবা ইলেকট্রিক পাখার নিচে বসি। এভাবেই সারাদিন বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা জীবন পরিচালনা করছি।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান সবচেয়ে বেশি। বিজ্ঞানের কল্যাণে রাতারাতি আধুনিক চিকিৎসা উন্নতির শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। বর্তমানে মানুষ বিজ্ঞানের আশীর্বাদের জন্য রোগহীন সুস্থ জীবন যাপন করছে। যে কোন কঠিন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাচ্ছে। এছাড়াও রোগাক্রান্ত হওয়ার আগেই মানুষ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছে।
যার ফলে বিভিন্ন ধরনের কঠিন রোগ থেকে মানুষ রেহাই পাচ্ছে। এছাড়াও যক্ষা, কিডনি, হৃদপিণ্ড, শিরা, হার্ট, যকৃত, ধমনী পাকস্থলীতে আক্রান্ত রোগ ও বিজ্ঞানের কাছে হার মেনেছে। এছাড়া রোগ নির্ণয়ের জন্য অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কৃত হয়েছে। যার ফলে খুব সহজেই রোগ নির্ণয় করা যায় এবং রোগ বোঝে চিকিৎসা প্রদান করা যায়।
জীবনে নানা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
বিজ্ঞান মানুষের জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে পড়েছে যে বিজ্ঞান ছাড়া মানুষের জীবন কল্পনা করা যায় না। আধুনিক জীবন বলতে আমরা সাধারণত বিজ্ঞানভিত্তিক জীবনকে বুঝি। তাইতো অন্ধকার গুহার পরিবর্তে আলো পিয়াসী হয়ে মানুষ বেছে নিয়েছে সুদৃশনিকেতন।
বিজ্ঞানের অবদানে মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে আধুনিক জীবন যাপন করছে এবং লজ্জা নিবারণের জন্য পোশাক-আশাক ব্যবহার করছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের। মোটকথা বিজ্ঞানের স্পর্শে আজ আমাদের জীবন হয়েছে সহজ ও সুন্দর।
এছাড়াও রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে বিভিন্ন যানবাহন বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার। আমরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও মানুষের সাথে কথা বলতে বা খবর আদান প্রদান করতে আমরা বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত মোবাইল টেলিফোন ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি।
কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
আদিম যুগে মানুষের জীবিকা উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ছিল কৃষি। এছাড়াও আমাদের মাতৃভূমিও কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষির সাথে জড়িত। কৃষি কাজের উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানের ভূমিকা অনেক। বিজ্ঞানের আশীর্বাদের ফলে কৃষি কাজে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার শুরু হয়েছে।
যা মানুষের কষ্ট অনেকাংশে লাঘব করেছে। এছাড়া উন্নত মানের বীজ আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে অধিক ফলন পাওয়া যাচ্ছে। যা কৃষকদের লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
উপসংহার
বিজ্ঞান অনুসন্ধানী, আধুনিক জীবনে ক্রম প্রবাহমান ছন্দের মূল চালিকাশক্তি। বিজ্ঞান দিন দিন উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। যা মানুষকে স্তম্ভিত করে দিচ্ছে। শহরে জীবনে বিজ্ঞান যেমন প্রভাব ফেলেছে তেমনি ধীরে ধীরে গ্রামীণ জীবনযাত্রায় ও বিজ্ঞানের বিস্তার লক্ষ্য করা যায়। তাই সচেতন জনসাধারণের প্রত্যেকেরই কর্তব্য গ্রামীন জীবন ধারাতেও বিজ্ঞানের বিস্তৃত ক্ষেত্র প্রস্তুত করা।
মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 10
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা হয়তো মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 10 সম্পর্কে জানতে চাচ্ছ?এই রচনাটি সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছি শুধুমাত্র তোমাদের জন্য। চল তাহলে জেনে নেই মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনাটি জেনে নেই।
ভূমিকা
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের জাদুকরি স্পর্শে মানবজীবনে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সব জায়গাতেই বিজ্ঞানের অব্যাহত জয়যাত্রা। মানব কল্যাণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান যে কতটা ব্যাপক তা প্রতিদিনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা থেকে অনুভব করা যায়। বিজ্ঞানের কারণে মানুষের জীবন যেমন সহজ হয়েছে তেমনি এসেছে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
বিজ্ঞান শব্দটির অর্থ
বিজ্ঞান শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Science যা ল্যাটিন শব্দ Scio থেকে এসেছে। যার অর্থ হল জানা বা শিক্ষা লাভ করা। এছাড়াও এর আভিধানিক অর্থ বিশেষ জ্ঞানী হলো বিজ্ঞান।
জীবন ও বিজ্ঞান
মানুষের জীবনের সাথে বিজ্ঞান ওতপ্রতভাবে জড়িত আছে। কারণ মানুষের অভাব বোধ থেকে বিশেষ জ্ঞান হিসেবে বিজ্ঞানের উৎপত্তি ঘটেছে। যার কারণে জীবনের সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে আমাদের সাংস্কৃতি, বিশ্বাস ও প্রবণতা বদলে যাচ্ছে দিন দিন।
বর্তমানে কোন কিছু যাচাই করতে বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়। বিজ্ঞান সম্পর্কে আমরা যতই অজ্ঞ হই না কেন বিজ্ঞানের প্রভাব আমাদের জীবনের মর্মমূলে প্রবেশ করেছে।
বিজ্ঞানের গুরুত্ব
সারা পৃথিবী জুড়ে যেখানেই জানবা তাকান প্রত্যেক জায়গাতেই বিজ্ঞানের মহিমা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র বিজ্ঞানের বলে মানুষ জল, স্থল জয় করেছে অনায়াসে। জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের গৌরবময় অবদান বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে আছে। মানুষের জীবনকে অফুরন্ত সুখে পরিপূর্ণ করার সাধনায় সদানিয়োজিত বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের কর্ম সাধনায় পরিণত হচ্ছে আধুনিক সভ্যতা।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
চিকিৎসা বিজ্ঞান এতটাই শক্তিশালী যে মানুষের অকাল মৃত্যুর কবল থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। আগে যে রোগ গুলো মরণব্যাধি হিসেবে পরিচিত ছিল বর্তমানে সেগুলো খুব সহজেই ওষুধের মাধ্যমে নির্মূল করা সম্ভব।
উন্নতমানের ঔষধ, অস্ত্রোপচার ব্যবস্থা, আল্ট্রাভায়োলেটরে, এক্সরে ও অণুবীক্ষণ যন্ত্র ইত্যাদি আবিষ্কারের ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এসেছে এক অমূল পরিবর্তন। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু মৃত্যুহার অনেক হ্রাস পেয়েছে।
কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
বর্তমান সময়ে আধুনিক বিজ্ঞান কৃষি ক্ষেত্রেও অশেষ উন্নতি সাধন করেছে। প্রাচীনকালে ব্যবহার করা লাঙ্গলের পরিবর্তে বর্তমানে ট্রাক্টর ব্যবহার করা হয়। যা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের কারণে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও মান বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক রাসায়নিক সার।
এছাড়াও ফসলকে কীটপতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে কীটনাশক। প্রকৃতির উপর নির্ভর না হয়ে গভীর নলকূপের সাহায্যে পানি সেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের কারণে।
যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
বর্তমান সময়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোটাই বিজ্ঞান নির্ভর। কারণ ট্রেন, বিমান, বাস, ট্রাক, কার সবকিছুই বিজ্ঞানের অবদানের জন্য সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞানের অবদানের জন্য আজ এরোপ্লেনে চড়ে মহাশূন্যে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিচ্ছে। এক সময় যা ছিল কল্পনা মাত্র।
এছাড়াও বর্তমানে শুধুমাত্র মোবাইলের মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ছবি বা ভিডিও আদান-প্রদান করা যাচ্ছে।
শিল্প ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
এক সময় মানুষের কাজ করতে অধিক সময় শ্রমের প্রয়োজন হতো। তবে পরিশ্রমের তুলনায় কাজ কম হতো। বিজ্ঞানের কারণে শিল্প বিপ্লবের ফলে কলকারখানা তৈরি হয়েছে। যার ফলে বেড়েছে উৎপাদন লাঘব হয়েছে মানুষের শারীরিক শ্রম। উৎপাদনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিরাজ করছে যন্ত্রের অধিপত্য। যার ফলে মানুষ পেয়েছে শান্তি ও ইস পূর্ণ জীবন।
প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
শুধুমাত্র বিজ্ঞানের কারণে প্রকৃতির অনেক ধ্বংসাত্মক দিককে মানুষ কল্যাণকর দিকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। যেমন আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও নদী শাসন প্রভৃতি ক্ষেত্রে মানুষ আজ বিজ্ঞানের সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে।
বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি আরো অনেক কিছু করছে। বিজ্ঞানের কারণে একসময়ের ভয়ঙ্করই প্রকৃতি আজ শুভঙ্করী প্রেয়সীতে রূপান্তরিত হয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে স্বাচ্ছন্দ ও আরাম-আয়েশ। রেডিও টেলিভিশন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক বাতি ও পাখা, টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ, বৈদ্যুতিক হিটার ইত্যাদি।
এই যন্ত্রগুলো আবিষ্কারের ফলে আমাদের জীবন হয়ে উঠেছে সহজ ও আরামদায়ক। এছাড়াও অফিস আদালতে নিত্য ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পিউটার। এছাড়াও ঘরের কাছ থেকে শুরু করে বাহিরের কাজ প্রত্যেকটি কাজে বিজ্ঞান জড়িত।
বিজ্ঞানের ক্ষতিকর দিক
বিজ্ঞান যেমন মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত তেমনি অনেক বিভীষিকাময়। যন্ত্রের উপর নির্ভর করতে করতে মানুষ ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। যার কারণে বেকার সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনের মত আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে অনেক ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ ঘুরছে জাতীয় অপসংস্কৃতির।
যার ফলে যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে। এছাড়াও রাসায়নিক ও পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার মানব সভ্যতাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে।
উপসংহার
বর্তমান সভ্য জাতির মূলে রয়েছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান আমাদের জীবনে এনেছে যেমন সুখ শান্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে করেছে গতিময়। মানবজাতন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে প্রতি পদক্ষেপে বিজ্ঞানের কাছে দায়বদ্ধ।
লেখকের মন্তব্য-মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা
প্রিয় পাঠক ও শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করছি মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা ২৫ পয়েন্ট,মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা ২০০ শব্দ,মানবকল্যাণে বিজ্ঞান রচনার ৩০ টি পয়েন্ট,মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা pdf download,মানব জীবনে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট,মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 7,
মানবকল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 6,মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা class 10 সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার।
প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url