ওজন কমাতে জিরা পানির উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
সুস্বাদু ৭ টি স্যুপের রেসিপি জানতে ক্লিক করুনমসলা হিসাবে জিরা ব্যবহারের কথা আমরা সকলেই জানি। বিশেষ করে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধি করতে জিরা বেশ জনপ্রিয়। তবে এই জিরা শুধু মসলা হিসেবেই নয় সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান।এমনকি মেদ ঝরাতেও এর জুড়ি নেই। তাই আজ আমরা জানব ওজন কমাতে জিরা পানির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
জিরা ভেজানো পানি অনেক রোগ বালাই থেকে আমাদের দূরে রাখে।আয়রনের চমৎকার একটি উৎস হচ্ছে জিরা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জিরাতে থাকা আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিরা পানি মানব দেহের আয়রনের চাহিদা মিটিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করতে পারে। এছাড়াও জিরা পানিতে ভালো পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি থাকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর সুবিধা পাওয়া যায়।
পোস্ট সূচীপত্রঃজিরাতে থাকা আয়রন রক্ত স্রোতের অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এছাড়াও জিরা পানি আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতার জন্য বেশ কার্যকর। জিরা পানি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ওজন কমাতে জিরা পানির উপকারিতা - ভূমিকা
জিরা পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা এই আর্টিকেলটি পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন। জিরা পানি সম্পর্কে প্রায় সকল তথ্যই দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলে। তাই আপনি যদি জিরা পানি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একটু সময় নিয়ে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এখানে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো হলো জিরা পানি খাওয়ার নিয়ম,জিরা পানি তৈরির নিয়ম,জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে,খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা,জিরা পানির উপকারিতা ও জিরা পানি খাওয়ার অপকারিতা। আপনি যদি আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়েন আশা করছি আপনার ভালো লাগবে।
জিরা পানি খাওয়ার নিয়ম
জিরাতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা আমাদের পাচন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। এই ড্রিঙ্কস টি আমাদের শরীরের মেটাবোলিজম সিস্টেমকে উন্নত করে। শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। সাথে সাথে পেট এবং উরুর মেদ কমাতেও সহায়তা করে। জিরা পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
আপনি যদি ডায়েটের সময় জিরা পানি খেতে পারেন তাহলে খুবই তাড়াতাড়ি আপনার ওজন কমবে। জিরা পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে খেতে হবে। তবে আপনি চাইলে অন্য সময়ও খেতে পারেন। তবে সকালে যদি আপনি খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে জিরা পানি খেতে পারেন এটি আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে।
তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এক গ্লাস পানির জন্য এক চামচ জিরা যথেষ্ট। তাড়াহুড়া করে ওজন কমাতে গিয়ে আবার বেশি জিরা খেয়ে ফেলবেন না। বেশি পরিমাণে জিরা খাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই অবশ্যই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে তারপর আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিরা পানি সেবন করবেন।
জিরা পানি তৈরির নিয়ম
এখন আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে জিরা পানি তৈরি করবেন। সঠিক নিয়ম মেনে যদি আপনি জিরা পানি তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক জিরা পানি তৈরির নিয়ম।
উপকরণঃ এক গ্লাস পানি,এক চা চামচ জিরা, এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু
প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে নরমাল তাপমাত্রার এক গ্লাস পানি নিয়ে নিতে হবে। এক গ্লাস পানির সাথে আমরা এক চা চামচ জিরা দিয়ে দেব। এর বেশি জিরা দেওয়া যাবে না এক চামচে যথেষ্ট এক গ্লাস পানির জন্য। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ জিরা ভালোভাবে মিশিয়ে সারা রাতে জন্য রেখে দিতে হবে। জিরা ভেজানো সেই পানি সকালে উঠে একটি পাত্র নিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে।
এক গ্লাস পানিকে আপনার অর্ধেক গ্লাস পানি করে নিতে হবে ফুটিয়ে। ফোটানো হয়ে গেলে একটি ছাপনার সাহায্যে ছেকে নিতে হবে। এরপর যখন পানিটি কুসুম গরম অবস্থায় চলে আসবে তখন এড করতে হবে এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আপনি চাইলে এই পর্যায়ে ড্রিঙ্কস টি খেয়ে নিতে পারেন অথবা স্বাদ বাড়ানোর জন্য এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
এই ড্রিঙ্কস টি যদি আপনি সকালে খালি পেটে এবং রাত্রে শোয়ার আগে খেতে পারেন তাহলে খুবই উপকার পাবেন। ওজন কমানোর জন্য হলে অবশ্যই আপনাকে এড্রেসটি খাওয়ার পাশাপাশি রেগুলার ডায়েটমেন্ট করতে হবে। তবে চেষ্টা করবেন অবশ্যই পরিমাণ মতো জিরা পানি খাওয়ার। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আপনার শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে
পৃথিবীতে যত উপকারী উপাদান রয়েছে তার মধ্যে জিরা অন্যতম একটি উপাদান। প্রাচীনকাল থেকেই জিরা নানাভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে বর্তমান সময়ে জিরার বেশ কদর রয়েছে। বিশেষ করে ওজন কমানোর জন্য জিরা বেশ কার্যকর। আজ আমরা জানবো জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ভাবছেন নিঃসন্দেহে জিরা পানি পান করতে পারেন। জিরাতে থাকা উপাদান পেটের ক্ষুধা কমিয়ে দেয় যার ফলে খাওয়ার ইচ্ছাটা কমে যায়। যার কারনে আপনি পাবেন কাঙ্খিত ওজন।শরীরের চর্বি নিঃসরণের জন্য জিরা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। নিয়মিত জিরা পানি পান করলে দেহের ওজন খুবই তাড়াতাড়ি হ্রাস পায়।
তাই দেহের ওজন সঠিক মাত্রায় ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত জিরা পানি পান করতে পারেন। আমাদের শরীরে জিরা পানি সব থেকে ভালো কাজ করে সকালে খালি পেটে খেলে। আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ জিরা ভিজিয়ে রাখেন এবং পরের দিন সকালে সেই পানি ফুটিয়ে ছেকে চা এর মত পান করেন তাহলে খুব ভালো উপকার পাবেন।
এছাড়াও আপনি খাবারের পরেও জিরা পানি পান করতে পারেন। এতেও বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।যেকোনো ভারী খাবারের পর ধীরে ধীরে যদি জিরা পানি খেয়ে নেন তাহলে এসিডিটির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।তবে আপনি যদি জিরা পানি খেয়ে ওজন কমাতে চান সেজন্য আপনাকে রেগুলার ডায়েট ও মেনটেইন করতে হবে।
রেগুলার ডায়েটমেন্ট করার পাশাপাশি আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে দুই বেলা জিরা পানি খেতে পারে। তবে অবশ্যই পরিণত পরিমাণে খেতে হবে। কারণ পরিমাণ এর চেয়ে বেশি খেলে জিরা পানি আপনার উপকারের থেকে অপকারের মাত্রাটা বেশি করতে পারে।
খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা
জিরা অত্যন্ত উপকারী একটি মসলা। তবে জিরা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ওজন কমাতে জিরা পানি উপকারী একটি পানীয়। তবে খালি পেটে জিরা পানি আমাদের কি উপকারে আসে এবং জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা কি চলুন জেনে নেই।
জিরা পানি খেলে অনেকেই মনে করে ওজন কমে যাবে, আসলেই কি তাই ? জিরা পানি আমাদের শরীরে কি ধরনের কাজ করে আজকে আমরা সেই সম্পর্কে জানব। জিরা হল একটি হার্বস এবং এটা স্পাইস হিসেবে কাজ করে। জিরা আমাদের শরীরের ডাইজেশন পাওয়ার বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
ডাইজেশন পাওয়ার বা হজম প্রক্রিয়া যখন ঠিক থাকবে তখন কিন্তু আপনার দিনের শুরুটাই সুন্দর হবে। সকালবেলা যারা খালি পেটে জিরা পানি খায় তাদের হজম প্রক্রিয়া এবং মেটাবলিজম পাওয়ার দুটোই ভালো হয়। অনেকে আছেন যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সকালে খালি পেটে জিরা পানি খান তবে এটা কিন্তু সরাসরি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করে না।
বরং আপনার খাবারের যে প্রক্রিয়া আছে বা মেটাবলিজম পাওয়ার আছে সেটাকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে। আবার অনেকেই আছেন যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যায় ভোগেন এবং যাদের আইভিএস আছে তারাও যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে জিরা পানি খান তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য বা আইভিএস এর মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জিরা পানি খাওয়া উচিত।
জিরা পানির উপকারিতা
রান্নাঘরের খুবই পরিচিত একটি মসলা হল জিরা। জিরার রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে জিরার রয়েছে অনেক গুনাগুন। জিরাতে থাকা কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, সোডিয়াম, প্রোটিন, পটাশিয়াম এবং বেশ কিছু ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
আপনি যদি সারাদিনে এক গ্লাস পরিমাণ জিরা পানি পান করেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই জিরা পানির উপকারিতা সম্পর্কে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকরী জিরা কারণ জিরা আয়রন এবং পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস। জিরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। শরীরে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া গুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার মত উপাদান রয়েছে জিরাতে।
জিরাতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উপকারী খনিজ পদার্থ এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি এবং সি রয়েছে এইসব উপাদান গুলো সংক্রমণ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।
হজমে সহায়তা করে
আমাদের অন্ত্রের যাবতীয় সমস্যার উপকার করে থাকে জিরা পানি। জিরা পানি হজমের উন্নতিতে বেশ কার্যকর। জিরা পানি বিপাককে উন্নত করে এবং গ্লুকোজ, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি দূর করতে পারে এমন এনজাইম গুলোর মত যৌগ নিঃসরণ করতে সহায়তা করে।
লিভারের বাইল অ্যাসিড তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং চর্বি জাতীয় বিভিন্ন খাবার হজম করতে সহায়তা করে। জিরা পানি এসিডিটি ও বদ হজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে থাকে।
ওজন কমাতে
আপনি যদি দিনে দুবার জিরা পানি খান তাহলে পেটের ক্ষুধা অনেকাংশে কমিয়ে দেয় এবং খাওয়ার ইচ্ছাটা অনেক কমে যায়। শরীরের চর্বি নিঃসরণের জন্য জিরা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। নিয়মিত জিরা পানি পান করলে দেহের ওজন খুবই তাড়াতাড়ি হ্রাস পায়। তাই দেহের ওজন সঠিক মাত্রায় ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত জিরা পানি পান করতে পারেন।
রক্তশূন্যতার চিকিৎসায়
নিয়মিত জিরা পানি পান করলে রক্তশূন্যতা দূর করে। জিরাতে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে যার ফলে রক্তশূন্যতা অনায়াসে দূর হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যাও দূর হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়
আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে দিনে দুবার জিরা পানি সেবন করতে পারে। জিরা পানি সেবন করার ফলে অনায়াসে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়ে যায়।
এসিডিটি নিরাময়
এসিডিটির মতো সমস্যা প্রতিরোধ করতে জিরা পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেকোনো ভারী খাবারের পর ধীরে ধীরে যদি জিরা পানি খেয়ে নেন তাহলে এসিডিটির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
বমি ভাব দূরীকরণে
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় সীমিত পরিমাণে জিরা পানি পান করতে পারেন। কারণ জিরা পানি বমি বমি ভাব দূরীকরণে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে।
অনিদ্রা দূরীকরণ
আপনারা যারা দীর্ঘদিন যাবত অনিদ্রায় ভুগছেন তারা যদি নিয়মিত কিছুদিন জিরা পানি সেবন করেন তাহলে আপনাদের অনিদ্রার মতো সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যাবে। এবং ভাল ঘুম হবে। জিরা পানি ঘুমের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।
দেহের পানি শূন্যতা দূরীকরণে
গরমকালে যদি আপনি জিরা পানি সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। জিরা পানি প্রাকৃতিকভাবে দেহের তাপমাত্রা কমায় এবং জিরা পানি খুবই স্বাস্থ্য সম্মত একটি পানিয়।
দেহের দূষিত পদার্থ দূরীকরণে
জিরা পানিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের এবং ভেতরের অঙ্গের বিষাক্ততা দূর করতে সহায়তা করে। এবং জিরা পানি নিয়মিত পান করলে যকৃত ও পাকস্থলীর জন্য বেশ উপকারী।
স্মৃতিশক্তির উন্নতি করে
জিরা পানি মস্তিষ্ক শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে কাজ করে। আপনি চাইলে নিয়মিত জিরা পানি পান করতে পারেন যা আপনার স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিমত্তাকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
বার্ধক্য রোধে
জিরাতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই ও এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি এজিং প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই আপনি যদি নিয়মিত জিরা পানি পান করতে পারেন তাহলে আপনার অকাল বুড়িয়ে যাওয়াকে প্রতিরোধ করবে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদান মায়েদের পুষ্টি
ভেষজ উপাদান গুলোর মধ্যে জিরা পানি অন্যতম। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন যা গর্ভবতী এবং স্তন্যদান কারী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় নিয়মিত সীমিত পরিমাণে জিরা পানি খেতে পারেন তাহলে আপনার এবং গর্ভস্থ ভ্রূণের আয়রনের চাহিদা অনেকাংশে মিটবে।
ত্বকের সুস্থতা
জিরা পানি দেহের ভিতর থেকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান করে যার ফলে ত্বক সুস্থ ও টানটান দেখায়।
ব্রণ নিরাময়
আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিয়মিত জিরা পানি খান কারণ জিরা পানি ব্রণ নিরাময়ে বেশ কার্যকর।
প্রদাণ নিরাময়
আপনার শরীরে যদি কোন ধরনের প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া থেকে থাকে সেগুলো নিরাময়ের জন্য আপনি নিয়মিত জিরা পানি পান করতে পারেন।
মর্নিং সিকনেস
এছাড়াও মর্নিং সিকনেস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জিরা পানি খাওয়া যেতে পারে।
জিরা পানি খাওয়ার অপকারিতা
জিরা পানি পান করার উপকারিতা অনেক। আমাদের শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা দূর করতে জিরা পানি বেশ কার্যকর। তবে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা রয়েছে। আজ আমরা জানবো জিরা পানি খাওয়ার কিছু অপকারিতা সম্পর্কে।
গ্যাস্টিক বা অম্ল ভাব
পেটের অম্ল ভাব দূর করতে এবং হজমে দারুন সহায়ক হচ্ছে জিরা কিন্তু অদ্ভুত হলেও সত্য জিরা মাঝেমধ্যেই হজমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। হঠাৎ করেই তা গ্যাস্ট্রো ইন্ট্রেস্টিনাল ট্র্যাকে গ্যাস বাড়ার প্রক্রিয়াকে সহজতর করে দেয়। যা কিনা শেষমেষ হার্ডবানের সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকে ভাবতেই পারে না অতিমাত্রায় ঢেকুর উঠতে পারে জিরার কারণে।
আরও পড়ুনঃ মধু খাওয়ার উপকারিতা এবং সঠিক নিয়ম
বেশি অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয় যখন অন্ত্রনালী ও পাকস্থলী থেকে খাবার ও গ্যাস ওপরের দিকে উঠে আসতে চায়। এগুলো মুখ দিয়ে বের করে দিতেই ঢেকুর ওঠে। অনেক সময় দেখা যায় ঢেকুরের সঙ্গে দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসে।
নেভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত
এছাড়াও জিরাতে এক ধরনের তেল থাকে এই তেল কিন্তু উদ্বায়ী পদার্থ। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যারা অনেক দিন ধরে বেশি পরিমাণে জিরা খেয়ে আসছেন এই তেল তাদের লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই পরিমাণ বুঝে জিরা খেতে হবে।
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষতি
গর্ভবতী মহিলাদের জিরা খেতে সাবধান হতে বলে বিশেষজ্ঞরা, গর্ভকালীন সময়ে অতিমাত্রায় জিরা খাওয়ার ফলে নানা রকমের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এই মসলাটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পিরিয়ড কালীন সময়ে জটিলতা ও ব্যথা বাড়তে পারে সঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণও হতে পারে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে জিরা গ্রহণ করুন এবং দেহকে সুস্থ রাখুন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটিতে জিরা পানি সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে জিরা পানি পান করার একটি সবথেকে বড় উপকারিতা হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা আছে তারা যদি দিনে দুইবার এই পানীয়টি পান করেন তাহলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার মন্তব্য জানাবেন। ভালো লাগলে ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন এবং কোন কিছু জানতে বা বুঝতে না পারলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এছাড়াও আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিতদের শেয়ার করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url