বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম - বাংলা আর্টিকেল লিখে আয়
ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা জানুনপ্রিয় পাঠক অনেকেই জানতে চান বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি এবং SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম। এছাড়াও বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেল লেখার বেশ কিছু ধাপ রয়েছে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকে আমরা জানব সমস্ত পোস্ট জুড়ে।
সকলের এই বিষয়ে জানা জরুরি যে যদি আপনি সঠিক নিয়ম মেনে আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে খুব সহজেই গুগল রাঙ্কিং এর শুরুতে থাকবে। শুধুমাত্র আর্টিকেল লিখলেই হবে না আর্টিকেলটি SEO ফ্রেন্ডলি কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনি যদি সঠিক নিয়মে SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে খুব সহজেই google ranking এর শুরুতে থাকবে আপনার আর্টিকেল।
পোস্ট সূচীপত্রঃআজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানব কিভাবে SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন এবং আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম - ভূমিকা
বাংলা আর্টিকেল লেখা অনেক ইজি মনে হলেও অনেকেই সঠিক নিয়ম না জানার কারণে এই সেক্টরে সফলতা পায় না। কারণ বাংলা আর্টিকেল লেখার অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। সেই ধাপগুলো নিয়ম মেনে আপনাকে লিখতে হবে। সর্বপ্রথম আপনাকে কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে।
আপনি যদি সঠিক কিওয়ার্ড বাছাই করতে না পারেন তাহলে আপনার আর্টিকেলটি গুগল রাঙ্কিং এ পিছিয়ে পড়বে। কিওয়ার্ড হল আপনি যে বিষয় সম্পর্কে লিখে খুজছেন সেটাই। এছাড়াও আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে SEO সম্পর্কে জানা জরুরি।
SEO এর পূর্ণরূপ হল Search Engine Optimization. এছাড়াও আপনারা যারা আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি হতে পারে দিকনির্দেশনা। আপনি যদি সঠিক নির্দেশনা মেনে বাংলা আর্টিকেল লেখেন তাহলে খুব সহজেই google ranking এ আসতে পারবেন এবং বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
একটি ভালো আর্টিকেল লিখতে হলে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। অনেক সময় আমরা বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো না জানার জন্য আর্টিকেল রাঙ্কিং করাতে পারিনা। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো রয়েছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা যারা বাংলা এবং ইংরেজি আর্টিকেল লিখে আয় করতে চাই তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
যে বিষয়ে লিখবেন সেই বিষয় নির্বাচন: আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে চান সেই বিষয়টি আগে আপনার মাথার মধ্যে ভালোভাবে গেঁথে নিন। তাহলে আপনি সেই বিষয়ের উপর ভালোভাবে ফোকাস করতে পারবেন। কারণ বিষয় নির্বাচন করা একটি আর্টিকেল এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।
আর্টিকেলের আকর্ষণীয় টাইটেল: অবশ্যই মাথায় রাখবেন আর্টিকেলের টাইটেল যেন আকর্ষণীয় হয় এবং ৫ থেকে ৯ শব্দের মধ্যে হয়। আর্টিকেলের টাইটেল পড়েই যেন পাঠক বুঝতে পারে পুরো আর্টিকেল জুড়ে কোন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আর্টিকেলের টাইটেল যদি আকর্ষণীয় না হয় তাহলে অধিকাংশ পাঠক পোষ্টের মধ্যে না ঢুকেই অন্য কোথাও চলে যায়। চেষ্টা করবেন টাইটেলে কি? কিভাবে? যেভাবে? অথবা ১০ টি,২০ টি ইত্যাদি আর্টিকেলের টাইটেলে রাখার চেষ্টা করবেন তাহলে পাঠকরা পড়তে আকৃষ্ট হবে। তাই অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
আর্টিকেলের ভূমিকা: ভূমিকা বলতে আমরা আর্টিকেলের শুরুতে যে চার পাঁচ লাইনের একটি প্যারা দেখতে পাই সেটাই। আপনি পুরো আর্টিকেলে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তা এই ভূমিকার মাধ্যমে পাঠকদের বুঝিয়ে দিতে হবে। কারণ অনেক পাঠক রয়েছে যারা শুধুমাত্র ভূমিকা পড়েই পোস্ট থেকে বের হয়ে যায়। যদি ভূমিকা পরে তারা বুঝতে না পারে পোস্টে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ফিচার ইমেজ: একটি পোস্টে অন্ততপক্ষে একটি ফিচার ইমেজ রাখতে হয়। কারণ একটি ইমেজ যেকোনো পোস্টের অনেক অর্থ বহন করে। আপনি যদি পাঠককে আপনার পোস্টে আকর্ষণ করতে চান তাহলে একটি প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজ রাখার চেষ্টা করবেন।
কারণ পাঠকরা শুধু লাইনের পর লাইন পড়তে পছন্দ করেনা। তারা চায় লেখার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজ বা যে কোন ইমেজ দেখতে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন টাইটেল অর ফিচার ইমেজের লেখাগুলোতে যেন কিছুটা ভিন্নতা থাকে।
আর্টিকেল সূচিপত্র: একটি আর্টিকেলে সূচিপত্র রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ পাঠকরা সূচিপত্র দেখে বুঝতে পারে পুরো আর্টিকেল এর ভিতর কোন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পাঠক যে বিষয় খুঁজছে সে যদি সূচিপত্রে সেই বিষয়টা পেয়ে যায় তাহলে সে আর্টিকেলটি পড়া শুরু করবে। আর যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল তাকে খুঁজে দেখতে হয় তাহলে সে বিরক্ত হবে তাই চেষ্টা করবেন সূচিপত্র অবশ্যই রাখতে।
প্যারাগ্রাফ শিরোনাম: অবশ্যই চেষ্টা করবেন পোস্টের প্যারাগ্রাফ গুলো যেন তিন থেকে সাড়ে তিন লাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। যদি কোন কারণে প্রাসঙ্গিক বিষয় ব্যাখ্যা করতে অধিক লাইনের প্রয়োজন পড়ে তাহলে কয়েকটি পড়াতে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন তিন প্যারার বেশি যেন না হয়। কারণ ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ পড়তে পাঠকরা বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
আর্টিকেলের বডি: একটি পারফেক্ট আর্টিকেল তৈরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই নূন্যতম পাঁচটি প্যারাগ্রাফ শিরোনাম বা সাবহেডিং রাখা উচিত। একটি পারফেক্ট আর্টিকেলে কমপক্ষে ৬০০ বা তার বেশি শব্দ ব্যবহার করা উচিত।
অবশ্যই মাথায় রাখবেন কোন কিছু বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা অসুবিধা লিখতে সেগুলোকে পয়েন্ট আকারে অর্থাৎ বুলেট লিস্ট আকারে লেখা উচিত। একটি পোস্টে আরো পড়ুন লিংক যোগ করা উচিত যাতে করে পাঠকরা প্রাসঙ্গিক আরও বিষয় ভালোভাবে জানতে পারে।
আর্টিকেলে আমি আপনি শব্দের ব্যবহার: আপনি যখন কোন পোস্ট লিখবেন সেক্ষেত্রে আপনি আমি শব্দটি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে করে পাঠকরা ভাববে আপনি পাঠকের সাথে গল্প করছেন। তাহলে পাঠকের আর্টিকেল পড়ার আগ্রহ অনেক গুন বেড়ে যাবে।
প্রয়োজনে পয়েন্ট ব্যবহার করা: এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেখানে পয়েন্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে প্রতিটি পয়েন্ট যেন সংক্ষেপণ এবং যথার্থ ধারণা বিদ্যমান থাকে। চেষ্টা করবেন পাঁচ থেকে সাতটি পয়েন্ট ব্যবহার করার। তাহলে আপনার আর্টিকেল দেখতে যেমন সুন্দর লাগবে পাঠক পড়তেও মজা পাবে।
বানান সঠিক রাখা: অবশ্যই আর্টিকেল লেখা শেষ করে ভালোভাবে রিভাইস দিয়ে নিবেন। কেননা আপনার আর্টিকেলে যদি একটা বানান ও ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেই আর্টিকেল এসিও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলের বাইরে চলে যেতে পারে। এছাড়াও আপনার পাঠকের কাছে বানান ভুল হলে খুবই দৃষ্টিকটু লাগবে।
ফোকাস কিওয়ার্ড: একটি আর্টিকেল এ অন্ততপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করা উচিত। যদি সেই ফোকাস কি ওয়ার্ডটি বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাবেই সার্চ দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাবেই সেই ফোকাস কিওয়ার্ড আপনার পোস্টে রাখার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করবেন পুরো পোস্টে যেন ফোকাস কি ওয়ার্ল্ড কমপক্ষে 10 থেকে 15 জায়গায় থাকে।
আর্টিকেল অ্যালাইনমেন্ট: আর্টিকেলের ভিতর পিকচার গুলো অবশ্যই সেন্টার অ্যালাইনমেন্ট রাখবেন এবং লেখাগুলোকে জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্টে রাখবেন যাতে করে আপনার লেখাগুলো বইয়ের লেখার মত দেখাবে।
আর্টিকেলের শেষ কথা : পুরো পোস্টটি লেখা শেষ হলে আপনার মতামত ব্যক্ত করে চার থেকে পাঁচ লাইন লেখার চেষ্টা করবেন। যাতে করে পাঠকরা পুরো আর্টিকেল পড়ে আপনার বা লেখক এর মতামত পায়। আপনি যদি একটি আদর্শ আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে আয়াত ওয়ার্ল্ড ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আপনি যদি একটি আর্টিকেলকে গুগল রাঙ্কিং এর শুরুতে দেখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসইও (SEO) সম্পর্কে জানতে হবে।এসইও (SEO) এর পূর্ণরূপ হল Search Engine Optimization. আপনি যদি একটি আর্টিকেলকে এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি ভাবে লিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অন পেজ এসইও ভালোভাবে জানতে হবে।
এসইও (SEO) সম্পর্কে না জানা থাকলে আপনার আর্টিকেল কখনই google রেংকিং এর শুরুতে দেখতে পাবেন না। একটি আর্টিকেলকে google এ রেংক করানোর জন্য অন পেজ এসিও জানা জরুরি। একটি আর্টিকেলকে সঠিকভাবে এসিও না করা থাকলে google রেংকিংয়ে আসতে পারেনা।
যে কারণে আপনার আর্টিকেলটি এসইও ফ্রেন্ডলি কিনা সেটা মাথায় রাখবেন। আপনি যদি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেল এর নিচের অংশ মনোযোগ সহকারে পড়লে সে বিষয়ে জানতে পারবেন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
একটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে বিষয় নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কি বিষয় নিয়ে লিখবেন সেটি নির্ধারণ করে নিতে হবে আগে থেকেই। এরপর আপনাকে সেই বিষয়ের ওপর কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করার ক্ষেত্রে আপনি কিছু টুলস এর ব্যবহার করতে পারেন। গুগলে এমন কিছু ফ্রি টুলস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সেই টুলস গুলো সম্পর্কে;
- Ubersuggest
- Ahrefs
- Google keyword planner
- Keyword Generator
উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনার প্রয়োজনীয় টুলস ডাউনলোড করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন খুব সহজে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার পর সর্বপ্রথম আপনাকে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সেটি হল ফোকাস কীওয়ার্ড নির্ধারণ করা। অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ের উপর পুরো আর্টিকেলটি লিখবেন সেটি হল ফোকাস কীওয়ার্ড।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিক্যাল লেখার ক্ষেত্রে ফোকাস কিওয়ার্ড দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন, ফোকাস কিওয়ার্ড এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড যা মেটা ডেসক্রিপশনে ফোকাস কিওয়ার্ডের সাথে একবার থাকবে। মেটা ডেসক্রিপশন বলতে আপনার আর্টিকেলের শুরুতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা দেওয়া।
যেখানে আপনার নির্ধারিত ফোকাস কিওয়ার্ড এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড একবার করে উল্লেখ করতে হবে। আপনি যেটা ফোকাস কিওয়ার্ড নির্ধারণ করেছেন সেটাই হবে আপনার আর্টিকেলের টাইটেল। মাথা রাখবেন একটি আর্টিকেল এর টাইটেল পাশ থেকে দশ শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। আপনার বোঝার সুবিধার্থে বলতে চাই ফোকাস কিওয়ার্ড এবং টাইটেল দুটোই কিন্তু একই।
আপনি যদি এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মেটা ডেসক্রিপশন এর মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড একবার এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড একবার রাখতে হবে। এছাড়াও সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুরে ফোকাস কিওয়ার্ড কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ বার রাখতে হবে। তবে ৮ বারের বেশি রাখতে যাবেন না কম রাখলে সমস্যা নেই।
এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ল্ড পুরো আর্টিকেল জুড়ে সর্বোচ্চ দুইবার রাখতে পারবেন। এর বেশি বা কম রাখবেন না। এরপর আপনাকে সূচিপত্র তৈরি করতে হবে। সূচিপত্র তৈরি করার ফলে পাঠক আপনার আর্টিকেল পড়তে আগ্রহী হবে। কারণ পুরো আর্টিকেল জুড়ে যে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তা সংক্ষেপে সূচিপত্রে দেওয়া থাকে।
এরপর আপনাকে ফিচার ইমেজ যুক্ত করতে হবে। কারণ একটি ফিচার ইমেজ আর্টিকেলের সৌন্দর্য অনেক গুণ বৃদ্ধি করে দেয় এবং পাঠকের পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। ফিচার ইমেজের সঙ্গে আপনার আর্টিকেলের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক টাইটেল থেকে নেওয়া কিছু কথা এবং শব্দজুড়ে দিন। যাতে করে আপনার আর্টিকেলটি আরো বেশি চমৎকার লাগবে।
এছাড়াও আপনার আর্টিকেলে যদি কোন স্ক্রিনশট যুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে আপনি খুব সুন্দর ভাবে স্ক্রিনশট নিয়ে সেটা যুক্ত করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন স্ক্রিনশট এর ভেতরে যেন বাড়তি কোনো অংশ না ওঠে। সুন্দরভাবে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য আপনারা Light Shot নামের সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
ফিচার ইমেজে আপনারা যে ছবি ব্যবহার করবেন অবশ্যই সেটা কপিরাইট ফ্রি ছবি হতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনারা গুগল থেকে ছবি সংগ্রহ করার সময় Images এ গিয়ে সাইটের Tools বাটনে ক্লিক করলে Usage Rights বাটনটি পাবেন, সেখানে ক্লিক করার পর Creative commone licenses থেকে আপনি কপিরাইট ফ্রি ইমেজ সংগ্রহ করতে পারেন।
আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আরো একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটা হল লাইন গ্যাপ দিয়ে আর্টিকেল লেখা। অর্থাৎ একটি প্যারা তৈরি করতে হবে ৩.৫ লাইন এর মধ্যে। এর বেশি হলে পাঠক আর্টিকেলটি পড়তে বিব্রত বোধ করতে পারে। সম্পূর্ণ আর্টিকেল লেখা শেষ হয়ে গেলে আর্টিকেল ফরমেট করে নিতে হবে।
অর্থাৎ সম্পূর্ণ আর্টিকেল এলাইনমেন্ট ঠিক করে জাস্টিফাই করে নিতে হবে যাতে করে লেখাগুলো দেখতে বইয়ের লেখার মত দেখায়। এছাড়াও আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেই সম্পর্কিত যদি কোন আর্টিকেল আপনার সাইটে থাকে তাহলে সেই আর্টিকেল এর লিংক আরো করুন সেকশনে যুক্ত করতে পারেন।
আপনার আর্টিকেলে যদি অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর কাজ ভালোভাবে করতে চান তাহলে অবশ্যই ইন্টারনাল এবং এক্সটার্নাল লিংক যুক্ত করতে হবে। ইন্টার্নাল লিংক হচ্ছে কোন লেখার মধ্যে লিংক যুক্ত করা এবং এক্সটার্নাল লিংক হচ্ছে আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করা কে বুঝায়।
এছাড়াও আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার আর্টিকেলের ফোকাস কীওয়ার্ড ব্যবহার করেন তাহলে গুগলে আপনার আর্টিকেল রেংকিংয়ে খুব সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি লিখে ভালোভাবে কমপক্ষে এক থেকে দুইবার রিভিশন করা উচিত। আর্টিকেল রিভিশন করা হয়ে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার আর্টিকেলে কোথাও ভুল আছে কিনা।
সবশেষে বলতে চাই একটি আর্টিকেল পরিপূর্ণভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভূমিকা এবং শেষ কথা, লেখক এর মন্তব্য, উপসংহার বা পরিসমাপ্তি ইত্যাদি যুক্ত করতে হবে। পুরো আর্টিকেলের বিষয়ে শেষ কথায় আপনি যেন দুই তিন লাইনের মধ্যে পাঠককে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে পারেন আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন। এতে করে আপনার আর্টিকেলটি দেখতে আরো ভালো লাগবে।
বাংলা আর্টিকেল লিখে আয়
অনেকেই আছেন যারা বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করতে চান তাদের জন্য বলতে চাই অবশ্যই আপনি বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন পড়বে। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত বাংলা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ভালো একটা এমাউন্ট পাবেন।
যদিও একটি ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন পড়ে এবং আর্টিকেল রেংকিং করানোর প্রয়োজন পড়ে। তবে আপনি যদি খুব দ্রুত আর্টিকেল লিখে আয় করতে চান তাহলে আপনি চাইলে আর্টিকেল লিখে সেই আর্টিকেলগুলো আপনি সেল করতে পারেন।
অথবা অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আর্টিকেল রাইটার খুঁজে থাকেন। আপনি চাইলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাইডে আর্টিকেল বিক্রি করতে পারেন। অথবা আর্টিকেল লেখার জব নিতে পারেন। এভাবেও আপনি বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য - বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম-বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আর্টিকেল পাবলিশ করার।
প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url